সংবাদদাতা, হাওড়া : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানবিকতার সাক্ষী থাকলেন বালি, বেলুড় ও লিলুয়া এলাকার বাসিন্দারা। প্রাণ ফিরে পাচ্ছে বেলুড়ের পতিতপাবন আরোগ্য নিকেতন, বালির কেদারনাথ আরোগ্য ভবন ও লিলুয়ার সিলভার জুবিলি হাসপাতাল। তিনটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের লাইসেন্স ফি বাবদ দেড় কোটি টাকা মকুব করে দিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
আরও পড়ুন-বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে ১৯ লক্ষ টাকা প্রতারণা
ফলে এলাকার মানুষের স্বাস্থ্য পরিষেবার সুযোগ প্রসারিত হল আরও। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে বালি পুর এলাকার এই তিনটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে ক্লিনিক্যাল এস্ট্যাবলিস্টমেন্ট লাইসেন্সের আওতার বাইরে আনল স্বাস্থ্য দফতর। বিধায়ক ডাঃ রাণা চট্টোপাধ্যায় এই তিন হাসপাতালকে ক্লিনিক্যাল এস্ট্যাবলিসমেন্ট লাইসেন্সের আওতায় বাইরে আনার জন্য স্বাস্থ্য দফতরে আবেদন জানিয়েছিলেন। তারপরই এই ব্যাপারে উদ্যোগ নেন হাওড়া জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ নিতাইচন্দ্র মণ্ডল। তিনি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে এই সংক্রান্ত চূড়ান্ত ফাইল তৈরি করে পাঠান। তার ভিত্তিতে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে পুরো বিষয়টি খতিয়ে বালি পুরসভার অধীন ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রকে ক্লিনিক্যাল এস্ট্যাবলিসমেন্ট লাইসেন্সের বাইরে রাখার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন-পেলের নামে স্টেডিয়াম
সেইসঙ্গে এই ব্যাপারে লাইসেন্সবাবদ বকেয়া পুরো টাকাও মকুব করে দেয় স্বাস্থ্য দফতর। এই খবর পেয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বিধায়ক ডাঃ রাণা চট্টোপাধ্যায় বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর মানবিক দৃষ্টান্তের একটা বড় উদাহরণ এই সিদ্ধান্ত। এর ফলে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে পরিষেবার মান আরও উন্নত হবে। শীঘ্রই ইউএসজি, এক্স-রে, রক্ত পরীক্ষা এখানে চালু হবে। স্বস্তিতে এলাকাকার মানুষ।