ত্রিপুরা অসমের পাশাপাশি মেঘালয়ে (Meghalaya) সংগঠন বৃদ্ধিতে কোনও খামতি রাখছে না তৃণমূল কংগ্রেস। গতকাল, বৃহস্পতিবার মেঘালয় পৌঁছেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (AITC- Abhishek Banerjee)। শুক্রবার মেঘালয়ের তুরায় জনসভায় দাঁড়িয়ে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের জন্য সুখবর দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের জনসভা থেকে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক জানিয়ে দিলেন মেঘালয় রাজ্যে তৃণমূলের সক্রিয় কর্মীর সংখ্যা ১ লক্ষ পেরিয়ে গিয়েছে। অল্পদিনের সংগঠনে এই বিপুল সংখ্যক মানুষের সাড়া পাওয়া নিশ্চিতভাবে ঘাসফুল শিবিরের জন্য অত্যন্ত সদর্থক।
শুক্রবার তুরার জনসভায় দাঁড়িয়ে মেঘালয়বাসীকে এক নতুন মেঘালয়ের স্বপ্ন দেখান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (AITC- Abhishek Banerjee)। তিনি বলেন, মেঘালয় রাজ্যকে শাসন করবে এখানকারই ভূমিপুত্র দিল্লি কিংবা গুয়াহাটি নয়। তিনি বুঝিয়ে দেন, তৃণমূলই একমাত্র দল যে মেঘালয়কে উন্নয়নের শিখরে পৌঁছে দিতে পারে। পর্যটনের দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই রাজ্যে উন্নয়নের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রের বঞ্চনার জেরেই এখানকার মানুষ উপেক্ষিত। পাশাপাশি অল্পদিনেই এ রাজ্যে তৃণমূলের প্রতি মানুষের ভালোবাসায় আপ্লুত অভিষেক বলেন, “আমরা কয়েকশো সদস্যকে নিয়ে মেঘালয়ে সংগঠন তৈরি করেছিলাম। আর এখন সক্রিয় সদস্য সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ লক্ষ। মেঘালয়কে দেশের মধ্যে ১ নম্বরে নিয়ে যেতে আপনারা সবাই এগিয়ে আসুন। তৃণমূলের আদর্শ অনেক দূরে পৌঁছে গিয়েছে।”
আরও পড়ুন: রাজ্য শাসন করবে মেঘালয়ের ভূমিপুত্রই, বিজেপি সরকারকে তুলোধনা করে বার্তা অভিষেকের
একই সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বছরের পর বছর দেখেছি, পূর্ব আর উত্তর-পূর্ব ভারতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। এবার দেখিয়ে দেওয়ার সময় এসেছে যে পূর্ব আর উত্তর-পূর্ব ভারত কারও থেকে কম যায় না।” পাশাপাশি তিনি বলেন, “অনেকে বলে থাকে তৃণমূল বহিরাগত। আমি মনে করিয়ে দিতে চাই, ভূমিপুত্র মুকুল সাংমা যখন তৃণমূলের টিকিটে লড়েন, তখন তিনি তো বহিরাগত নন। তৃণমূলের বিরুদ্ধে যাঁরা মিথ্যা অভিযোগ আনছেন, তাঁদের মুখ বন্ধ রাখা উচিত।”