দেবর্ষি মজুমদার, শান্তিনিকেতন : ৮৪ ঘণ্টা পেরনোর পর বৃহস্পতিবার রাত ১১টা নাগাদ আদালতের রায়ের সাহায্য নিয়ে ঘেরাওমুক্ত হলেন বিশ্বভারতীর রেজিস্ট্রার আশিস আগরওয়াল, জনসংযোগ আধিকারিক অতিগ ঘোষ এবং এস্টেট অফিসার অশোক মাহাতো। যদিও সে অর্থে তাঁদের কেউ ঘেরাও করেনি। পড়ুয়ারা হস্টেল ক্যান্টিন খোলা-সহ তিনদফা দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
আদালতের নির্দেশ ছিল আধিকারিকদের যাতায়াত বন্ধ করা যাবে না বা তাঁদের কাজের অসুবিধা সৃষ্টি করা যাবে না। এই রক্ষাকবচ ঢাল করেই আধিকারিকরা পুলিশি ঘেরাটোপে কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে বলাকা গেট থেকে বের হন। আপাতত কেন্দ্রীয় কার্যালয় তালাবন্ধ। আর তালাবন্ধ হওয়ার ঘটনাকেই আদালত অবমাননা বলে মনে করছেন পড়ুয়ারা। শান্তিনিকেতন থানার একজন এসআই ও তিন কনস্টেবল মোতায়েন রয়েছে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে।
আরও পড়ুন – দুবরাজপুরে বিধানসভায় তৃণমূলের উত্থান, উন্নয়ন-ঝড়ে ধূলিসাৎ বিজেপি
টিএমসিপির বিশ্বভারতী (Visva Bharati) ইউনিটের সভানেত্রী মীনাক্ষী ভট্টাচার্য বলেন, ‘আদালতের আশ্রয় নিয়ে আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন থামানো যাবে না। আদালতকে ঢাল করে চোরের মতো পুলিশের এসকর্টে কর্মসচিব পড়ুয়াদের সঙ্গে কোনও আলোচনা ছাড়া চলে গেলেন। এটা খুব দুঃখজনক। আমরা এর নিন্দা করছি। আমাদের থাকার জায়গা নেই। আমরা তালাবন্ধ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেই অবস্থান করব।’
এদিন বিশ্বভারতী (Visva Bharati) এক দায়সারা বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, কর্মসচিবের নেতৃত্ব একটি কমিটি গঠিত হয়েছে। তারা দেখবে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মেরামতির পর হোস্টেল খুলে দেবে। তাতে কোথাও অনলাইন পরীক্ষা নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করা হয়নি।