প্রতিবেদন : কলকাতা পুরনির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়ন পর্বেই বিরোধীরা কার্যত লেজেগোবরে অবস্থায়। গেরুয়া শিবির থেকে শুরু করে বাম শিবির, কংগ্রেস— সব পক্ষেই প্রার্থী বাছাইকে ঘিরে ব্যাপক ক্ষোভ, বিশৃঙ্খলা। শুধু ক্ষোভপ্রকাশ নয়, আত্মহত্যার হুমকিও শোনা গিয়েছে বিরোধী শিবিরে। বিজেপিতে আদি বনাম নব্যের লড়াই নতুন কিছু নয়। তা এখনও ঊর্ধ্বমুখী। কিন্তু সম্প্রতি আদি বনাম আদির লড়াইও এক ভিন্নমাত্রা দিয়েছে বিজেপির অন্তর্কলহকে। দুই আদিম নেতা তথাগত রায় এবং দিলীপ ঘোষের উত্তেজিত বাক্য কিংবা ব্যঙ্গ-বিনিময় বারবার গভীর অস্বস্তিতে ফেলেছে দলকে। প্রার্থী তালিকাতেও তার প্রতিফলন অস্বাভাবিক নয়। তবে সবচেয়ে লক্ষ্যণীয় বিষয়, এবারে গেরুয়া প্রার্থী তালিকা কার্যত দরজা দেখিয়ে দিয়েছে নব্য বিজেপিদের।
আরও পড়ুন : প্রার্থী করতে নগদ লেনদেন ,দুর্নীতির এভারেস্টে বিজেপি
বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, ২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে লোভে পড়ে যাঁরা অন্যদল থেকে বিজেপিতে এসে ভিড়েছিলেন এবং ছড়ি ঘুরিয়েছিলেন তাঁরা দলে এখন কার্যত অচ্ছুৎ, গুরুত্বহীন। এটা ঘটনা, বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে ধরাশায়ী হওয়ার পরে এতটাই অবসাদ, নিরাশা এবং বিষণ্ণতা গ্রাস করেছে গেরুয়া শিবিরকে যে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহটাই হারিয়ে ফেলেছেন বেশিরভাগ নেতা-কর্মী। যেমন ২৫ নম্বর এবং ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে। কেউ সঙ্ঘ-ঘনিষ্ঠ হয়েও মনোনয়ন পাননি, কেউবা আবার নিজের মেয়েকে দাঁড় করাতে না পেরে ফেটে পড়েছেন রাগে। দুর্ঘটনায় মৃত কাউন্সিলরের স্বামী টিকিট না পাওয়ায় তিনিও বিক্ষুব্ধের তালিকায়। কংগ্রেসের টিকিট না পেয়ে এক মহিলা নেত্রীকে বিধানভবনের সামনে আত্মহত্যার হুমকি দিতে শোনা গেল। বিক্ষোভ সামাল দিতে হয় পুলিশকে। মাইক্রোস্কোপিক হয়ে যাওয়া সিপিএম নিজেদের সাংগঠনিক অস্তিত্বহীনতা রুখতেই এখন ব্যস্ত। লক্ষ্য একটাই, পুরনির্বাচনে ‘শূন্য’ স্কোর ঠেকানো।