প্রতিবেদন: যোগীরাজ্যে গেরুয়া শিবিরের পায়ের তলার মাটি যে দ্রুত আলগা হয়ে যাচ্ছে তা বিজেপির আচরণ থেকেই স্পষ্ট। লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির আশঙ্কায় তাই নির্বাচনের প্রথম পর্বেই ব্যাপক সন্ত্রাস চালাল শাসকদল। কোথাও বিজেপি কর্মীরা সরাসরি বাধা দিয়েছেন ভোটারদের, কোথাও আবার প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে ভোটার বা বিরোধী এজেন্টদের উপর তুমুল চাপসৃষ্টি করেছে যোগীর লোকজন। বিরোধীদের অজস্র অভিযোগ থাকলেও তা কানে তোলেনি কমিশন কিংবা পুলিশ। ভোটের নামে প্রহসনের অভিযোগে এদিন সকাল থেকেই সরব সমাজবাদী পার্টি।
আরও পড়ুন-গেরুয়া মধ্যপ্রদেশে মধ্যযুগীয় বর্বরতা
তাদের ক্ষোভ, ভোটার লিস্ট থেকে বেছে বেছে প্রকৃত ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, বুথ থেকে সমাজবাদী প্রার্থীদের এজেন্টদেরও বের করে দিয়েছে বিজেপি মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীরা। বের অখিলেশ যাদবের দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানো হয়েছে নির্বাচন কমিশনেও। সমাজবাদী পার্টির অভিযোগ, কৈরানা, মুরাদাবাদ, রামপুর লোকসভা কেন্দ্রের একাধিক বুথে সাধারণ ভোটারদের নাম বাদ পড়েছে ভোটার তালিকা থেকে। মুরাদাবাদ নগর শহরের বুথেও সমাজবাদী পার্টির সমর্থকদের নাম বাদ পড়েছে তালিকা থেকে। কৈরানা লোকসভা কেন্দ্রে এক মহিলা ভোটারকে নিগ্রহ করেছে প্রশাসনিক আধিকারিক। বুথের বাইরে এসে অভিযোগ জানালেন এক সংখ্যালঘু মহিলা ভোটার। সাহারাণপুর কেন্দ্রে বিজেপির মারে সমাজবাদী পার্টির এজেন্ট বুথের বাইরে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হন বলে অভিযোগ করা হয়। তবে মারাত্মক অভিযোগ ওঠে রামপুরে। সেখানে পুলিশ সমাজবাদী পার্টির এজেন্টকে বের করে দেয় বিনা কারণেই। মুজফফরনগর কেন্দ্রে বুথ দখলের কথা জানিয়ে কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেছেন সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী হরেন্দ্র সিং মালিক। রামপুর ও মুজফফরনগরে বেশ কিছু বুথে ইভিএম খারাপ হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। ফলে ভোটদানে অনেকটাই সময় নষ্ট হওয়ার অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। প্রতিটি ক্ষেত্রেই
অভিযোগ উঠেছে যোগী প্রশাসন এবং গেরুয়া বাহিনীর বিরুদ্ধে। এককথায় প্রথম দফার নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করার জন্য চেষ্টার ত্রুটি রাখেনি বিজেপি।