প্রতিহিংসার রাজনীতি করে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে আর তার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। ইডি, সিবিআই-এর মত এজেন্সিগুলিকে দিয়ে বিরোধী দলের রাজনৈতিক নেতা নেত্রীদের হেনস্থা করা হচ্ছে। দেশের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদিকে এই নিয়ে চিঠি দিল তৃণমূল সহ ৯ বিরোধী রাজনৈতিক দল। তৃণমূল নেত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি রয়েছেন, আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল, ভারত রাষ্ট্র সমিতির প্রধান চন্দ্রশেখর রাও, এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের মতো নেতারা।
আরও পড়ুন-মেট্রোপলিটন বাইপাসে পথ দুর্ঘটনা, পিলার পড়ল জলাশয়ে
প্রধানমন্ত্রীকে লেখা এই চিঠিতে সাম্প্রতিক একাধিক বিষয় নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। চিঠিতে লেখা হয়েছে যে বিরোধী নেতারা বিজেপিতে যোগদান করছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত ধীর গতিতে চলছে। বেছে বেছে নিশানা করা হচ্ছে বিরোধীদের। যার ফলে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। এছাড়া অবিজেপি রাজ্যগুলিতে রাজ্যপালের কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা করা হয়েছে চিঠিতে। বলা হয়েছে, রাজ্যপালরা কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির মধ্যে ক্রমবর্ধমান বিভেদ সৃষ্টি করছেন। শুধু তাই নয় স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সির পদক্ষেপকে। চিঠিতে লেখা হয়েছে, দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর দিল্লির ডেপুটি সিএম মণীশ সিসোদিয়াকে সিবিআই গ্রেফতারর করে। গ্রেফতারের সময় তার বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ দেখান হয়নি। মনীশ সিসোদিয়ার গ্রেফতারি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে ‘গণতন্ত্রের স্বৈরাচারে ব্যবস্থাকে’। ২০১৪ সাল থেকে যেসব নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তাদের বেশির ভাগই বিরোধী দলের।
আরও পড়ুন-কবে হবে মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ
উল্লেখ্য, মণীশ সিসোদিয়াকে তো বটেই অবিজেপি রাজ্যে কেন্দ্রীয় এজেন্সির প্রতিহিংসা মূলক আচরণের আরো একটি নমুনা সাম্প্রতিক ছত্রিশগড়। গত ২০ ফেব্রুয়ারি ছত্তিশগড়ের কয়লা লেভি কেলেঙ্কারিতে বড় পদক্ষেপ নিয়েছিল। কেলেঙ্কারিতে অর্থ পাচারের তদন্তে ইডি, কংগ্রেস কোষাধ্যক্ষ, বিধায়ক এবং অন্যান্য নেতাদের বাড়িতে হানা দেয়। এই অভিযানগুলি এমন এক সময়ে হয়েছিল যখন ২৪-২৬ ফেব্রুয়ারি ছত্তিশগড়ের রায়পুরে কংগ্রেস পার্টির সাধারণ সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। ইডি এক ডজনেরও বেশি জায়গায় হানা দেয়। এর মধ্যে একাধিক কংগ্রেস নেতার বাড়িও ছিল তালিকায়।