প্রতিবেদন : সুপ্রিম কোর্টে জোর ধাক্কা খেলেন শুভেন্দু অধিকারী। মুখ পুড়ল বিজেপির। খারিজ হয়ে গেল শুভেন্দুর আর্জি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামের ভোটগণনায় কারচুপির অভিযোগ এনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ইলেকশন পিটিশন দাখিল করেছিলেন, সেই মামলা কলকাতা হাইকোর্ট থেকে অন্য রাজ্যে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য শীর্ষ আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন শুভেন্দু। কিন্তু শুক্রবার বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দিল, শুভেন্দুর আবেদন মঞ্জুর করা হবে না।
আরও পড়ুন-ভারতের সবচেয়ে বড় পাপ্পু হলেন অমিত শাহ
পছন্দমতো আদালত বেছে নেওয়ার আবেদন শীর্ষ আদালত মেনে নিতে পারে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ইলেকশন পিটিশন দাখিল করেছেন সেই মামলা চলবে কলকাতা হাইকোর্টেই। সুপ্রিম কোর্ট তাঁর আবেদনে সাড়া না দেওয়ায় তৎক্ষণাৎ পিছু হটেন শুভেন্দু। প্রত্যাহার করে নেন মামলা। শুধু শুভেন্দুর নয়, এই ঘটনা গেরুয়া শিবিরের পক্ষেও নিঃসন্দেহে এক বড় ধাক্কা এবং অবশ্যই নৈতিক পরাজয়। অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চ এই আবেদন খারিজের যৌক্তিকতাও ব্যাখ্যা করেছে। বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের যুক্তি, পিটিশন অন্যরাজ্যে সরানো হলে মনে করা হবে, কলকাতা হাইকোর্টের উপর আস্থা নেই সুপ্রিম কোর্টের। আমাদের এই বার্তা পাঠানো মোটেই উচিত নয়।
আরও পড়ুন-সকালে পায়েস রাতে কেক
শুভেন্দুকে কটাক্ষ করে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, নন্দীগ্রাম মামলায় শুভেন্দু অধিকারীর জন্য এক বড় ধাক্কা। কুণালের টুইট-বার্তা, মামলায় হস্তক্ষেপ করতে চায়নি সুপ্রিম কোর্ট। সেই কারণেই মামলা প্রত্যাহার করলেন শুভেন্দু। এবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলার আরও দ্রুত শুনানি হবে।