সংবাদদাতা, বালুরঘাট : রাজ্যের সবচেয়ে ক্ষতি করছেন বিরোধী দলনেতা। শুক্রবার বালুরঘাটের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিবাদ সভা থেকে উঠল এমনই আওয়াজ। শহরের থানা মোড়ে প্রতিবাদ সভায় বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী শশী পাঁজা, রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার ও রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পাদক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। সভার শুরুতেই কার্যত পাওয়ার প্লে ওভারের ন্যায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী-কে আক্রমণ করে জয়প্রকাশ মজুমদার একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন।
আরও পড়ুন-দ্রুত শেষ হবে আবাস যোজনার কাজ
তিনি বলেন শুভেন্দু অধিকারী বলছে ১০০ দিনের টাকা দেওয়া চলবে না, বাংলার লোককে পেটে মারতে হবে ভাতে মারতে হবে। শুভেন্দু অধিকারী বলছেন যদি না এদের মৃত্যু মুখে ঠেলা যায়, পেটে মারা যায় ভাতে মারা যায় তা না হলে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে না বলে এদিন জয়প্রকাশ মজুমদার দাবি করেন। সেই সঙ্গে বিজেপিকে কার্যত একহাত নিয়ে জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, বিজেপি চেয়েছিল পশ্চিমবঙ্গে আর একটা ছিয়াত্তরের মন্বন্তর হোক, পশ্চিমবঙ্গের ২০-২৫ লক্ষ লোক যেন না খেতে পেয়ে মারা যায়। পাশাপাশি কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে রাজ্য সরকারের তুলনা টেনে সায়ন্তিকা বলেন, একদিকে আমরা দেখছি দুয়ারে সরকার আর আর একদিকে দেখছি দুয়ারে দানব পাঠাচ্ছে। উদাহরণ হিসাবে তিনি জিএসটির প্রসঙ্গও তোলেন।
শশী পাঁজা বলেন ২০১৮-এর সমীক্ষা করা তালিকায় থাকা ৫৬ হাজার নাম ২০২২ সালে সমীক্ষা করে ১৭ লক্ষ নাম বাদ দেওয়া হয়েছে, এটা পশ্চিমবাংলা, এখানে ন্যায় হয়। তিনি বলেন বাকি ৩৯ লক্ষের মধ্যে ১১ লক্ষ বাড়ির জন্য টাকা ঢুকেছে। আবাস যোজনার তথ্য পেশ করবার পাশাপাশি শশী পাঁজাও এদিন রাজ্যের বিরোধী দলগুলির দিকে তোপ দেগে বলেন, বাংলার বিরোধী পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলির রাজনৈতিক বিভিন্ন পরিচয় থাকা সত্ত্বেও তারা তলে তলে এক, যারা ৩৪ বছর সন্ত্রাস করে গিয়েছে তারা আজ অবধি ক্ষমা চায়নি। সভার পাশাপাশি এদিন একটি পদযাত্রাও করেন তৃণমূল নেতৃত্বরা।