প্রতিবেদন : ভোটের নিরাপত্তায় এবার রাজ্য পুলিশও। কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি এবার প্রথম দফার ভোটে ১০ হাজারেরও বেশি রাজ্য পুলিশকে মোতায়েন করার নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। আগামী ১৯ এপ্রিল প্রথম দফায় আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার আসনে নির্বাচনের আগে ১৬ এপ্রিলের মধ্যে এই পুলিশ কর্মীদের সেখানে পৌঁছনোর জন্যে রাজ্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। এই পর্বে ১০ হাজার ৮৭৫ জন রাজ্য পুলিশের মধ্যে তিন হাজার ৯৫৭ জন সশস্ত্র পুলিশকে বিভিন্ন ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে মোতায়েন করা হবে বলেই জানা গিয়েছে। এর পাশাপাশি থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনীও। চলতি লোকসভা ভোটে রাজ্যের বিরোধীরা বারবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর পক্ষে সওয়াল করেছিল। কিন্তু তাদের দাবি উড়িয়ে কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি এবার রাজ্য পুলিশের উপরও ভরসা রাখল। নির্বাচন কমিশন লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে রাজ্যের তিন আসনে ২৬৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি দশ হাজারের বেশি রাজ্য পুলিশ মোতায়েন করার সিদ্ধান্তই বহাল রাখল।
আরও পড়ুন-থ্রিলারে বাজিমাত বার্সেলোনার বরুসিয়াকে হারাল অ্যাটলেটিকো
কেন্দ্রীয় বাহিনীকে যথাযথভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে না। একাধিক রাজনৈতিক দলের তরফে বারবার এই অভিযোগ তোলা হয়েছে। এই আবহে এবার ভোটের দিনগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গতিবিধির ওপর কড়া নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এই প্রথমবার ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে থেকে ভোট শেষ হওয়ার পর কেন্দ্রীয় বাহিনীর গতিবিধির ওপর নিজস্ব টিম মারফত নজরদারি চালানো হবে বলে কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যবহার এবং গতিবিধি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবার ভোটের অনেক আগে থেকেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তবে অভিযোগ, তাঁদের যথাযথ ভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে না। সেই অভিযোগ নিরসনে এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গেছে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, রাজ্যে ডিউটি করতে এসে তারা ঘুরতে চলে যাচ্ছে। এমন অভিযোগ তুলেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস, বিরোধী দল কংগ্রেস ও বামেরা। অর্থাৎ আদতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর যা কাজ অর্থাৎ মানুষের মন থেকে ভয় ভীতি দূর করা, সেই কাজই হচ্ছে না। রাজনৈতিক দলগুলির এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই এবার প্রথমবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর গতিবিধির ওপর নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন। তবে প্রয়োজনের তুলনায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা এখনও কম। ফলে সব বুথে বাহিনী কতটা রাখা যাবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।