থ্রিলারে বাজিমাত বার্সেলোনার বরুসিয়াকে হারাল অ্যাটলেটিকো

তবে দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হওয়ার তিন মিনিটের মধ্যেই ১-১ করে দিয়েছিল পিএসিজ। বাঁ পায়ের জোরালো শটে গোল করেন বার্সার প্রাক্তনী উসমান ডেম্বেল।

Must read

প্যারিস ও মাদ্রিদ, ১১ এপ্রিল : আরও একটা রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের সাক্ষী রইল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। পাঁচ গোলের ম্যাচে পিএসজিকে তাদের ঘরের মাঠে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়ে সেমিফাইনালের দিকে এক পা বাড়িয়ে রাখল বার্সেলোনা। জোড়া গোল করে ম্যাচের নায়ক বার্সার ব্রাজিলীয় তারকা রাফিনহা। অন্যদিকে, মাথা হেঁট
কিলিয়ান এমবাপের।

আরও পড়ুন-প্যারিসেই ৯০ মিটারের লক্ষ্যপূরণ চান নীরজ

লড়াইটা ছিল দুই প্রাক্তন সতীর্থের। আর সেই লড়াইয়ে লুইস এনরিকেকে টেক্কা জাভি হার্নান্দজ। অথচ প্রথম কুড়ি মিনিট বার্সেলোনাকে রীতিমতো চাপে রেখেছিল পিএসজি। বাঁ প্রান্ত দিয়ে তীব্র গতিতে আক্রমণ শানিয়ে বার্সার রক্ষণে ত্রাসের সৃষ্টি করছিলেন এমবাপে। তবে ৩৭ মিনিটে খেলার গতির বিরুদ্ধে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। লামিনে ইয়ামালের ক্রস পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে পারেননি পিএসজি গোলকিপার দোনারুমা। ফিরতি বল জালে জড়াতে ভুল করেননি রাফিনহা।
তবে দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হওয়ার তিন মিনিটের মধ্যেই ১-১ করে দিয়েছিল পিএসিজ। বাঁ পায়ের জোরালো শটে গোল করেন বার্সার প্রাক্তনী উসমান ডেম্বেল। দু’মিনিটের মধ্যেই ফাবিয়ান রুইজের অসাধারণ থ্রু থেকে বল পেয়ে পিএসজিকে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন ভিতিনহা। পিছিয়ে পড়ে আক্রমণের ঝড় তোলে বার্সেলোনা। ৬২ মিনিটে ২-২ করে দেন রাফিনহা। তাঁকে পাস বাড়িয়েছিলেন পেদ্রি। এই গোলের কিছুক্ষণ পরেই রাফিনহাকে তুলে নেন বার্সা কোচ জাভি। মাঠে নামান ক্রিস্টেনসেনকে। আর মাঠে নামার ৭১ সেকেন্ডের মধ্যেই ইলখাই গুন্ডোগানের নেওয়া কর্নার কিকে মাথা ছুঁইয়ে বার্সার জয়সূচক গোলটি করেন ক্রিস্টেনসেন। পরিসংখ্যান বলছে, পিএসজির মাঠে দীর্ঘ ৯ বছর পর জয়ের মুখ দেখল বার্সেলোনা। শেষবার এই মাঠে তারা জিতেছিল ২০১৫ সালের এপ্রিলে।

আরও পড়ুন-বদলার ম্যাচে বিধ্বস্ত মেসিরা

এদিকে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অন্য একটি কোয়ার্টার ফাইনালে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ২-১ গোলে হারিয়েছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডকে। ঘরের মাঠে ৪ মিনিটেই অ্যাটলেটিকোকে এগিয়ে দেন রডরিগো দি পল। ৩২ মিনিটে অ্যাটলেটিকোর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন স্যামুয়েল ইনো। ৮১ মিনিটে সেবাস্তিয়ান হলারের গোলে ব্যবধান কমালেও, হার বাঁচাতে পারেনি বরুসিয়া।

Latest article