প্রতিবেদন : বারাণসীর দশাশ্বমেধ ও আসি ঘাটের ধাঁচে কলকাতায় গঙ্গার ঘাটে নিত্য গঙ্গা আরতি হোক সম্প্রতি এই ইচ্ছা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয়ে তিনি বলেছিলেন, কেন আমাদের রাজ্যে গঙ্গা আরতির আয়োজন করা যাবে না? তাঁর সেই মনোবাসনাকে গুরুত্বের সঙ্গে মান্যতা দিয়ে কয়েক দিন আগে কোন্নগর পুরসভার উদ্যোগে বারো মন্দির ঘাটে শুরু হয়েছে গঙ্গা আরতির আয়োজন। প্রতিদিন সন্ধ্যায় নিয়মিত হচ্ছে এই আরতি।
আরও পড়ুন-দুয়ারে সরকার নবান্নে জরুরি বৈঠক ডাকলেন মুখ্যসচিব
মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণার পরই এই গঙ্গা আরতির ভাবনা নেওয়া হয়েছে বলে কোন্নগর পুরসভার পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে। এর আগেও অবশ্য বারো মন্দিরের এই ঘাটে আরতি হত। তবে পরে তা অনিবার্য কারণে বন্ধ হয়ে যায়। মুখ্যমন্ত্রীর কথামতো সুষ্ঠুভাবে নিত্য আরতি সম্পন্ন করার জন্য সব রকমের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যেমন চান সেইমতো এখানকার ঘাটে মন্দির আছে, বসার জায়গা আছে এবং সর্বোপরি ভক্তি ও শান্তির পীঠস্থান বলে স্থানীয় অঞ্চলে খ্যাতিও আছে। তাই কোন্নগরের ঘাটের এই রোজকার গঙ্গা আরতি নিয়ে ইতিমধ্যে মানুষের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন-অভিনন্দন জানাতে ঢল, যেন জনসভা
গত মঙ্গলবার পুরপ্রধান নারকেল ফাটিয়ে পুজো দিয়ে গঙ্গা আরতি শুরুর ঘোষণা করেন। তার পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রতিপদে শুরু হয় আরতি। বারো মন্দিরে জ্যোতির্লিঙ্গ রয়েছে সেই কারণে বেছে নেওয়া হয় এই ঘাটকে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় বহু মানুষের সমাগমও হয় গঙ্গা তীরে কোন্নগরে। বৃহস্পতিবার গঙ্গা আরতি দেখার জন্য মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। এ বিষয়ে কোন্নগরের পুরপ্রধান জানান, গঙ্গারতি দেখার জন্য বহু মানুষের সমাগম হচ্ছে। এই গঙ্গা আরতি আগামী দিনে মানুষের কাছে আরও বেশি করে জনপ্রিয় হয়ে উঠবে আশা করি।’