প্রতিবেদন : কিছুদিন আগেই কাগজ ও কালির তীব্র সংকটের কারণে প্রতিবেশী শ্রীলঙ্কায় বাতিল হয়েছিল পরীক্ষা। অন্যদিকে পাকিস্তানে পরীক্ষার পর ছাত্রছাত্রীরা নতুন ক্লাসে উঠলেও হাতে পাচ্ছে না বইখাতা। কারণ কাগজের সংকট। সরকারের নীতির কারণেই এই সংকট বলে অনেকেই মনে করছেন। পাকিস্তানের কাগজ ব্যবসায়ী সংগঠনগুলির অভিযোগ, দেশে কাগজের সংকট উদ্বেগজনক হারে বেড়ে চলেছে। কাগজের দাম এতটাই বেড়েছে যে কেনা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে বই ছাপানো সম্ভব হয়নি। নতুন শিক্ষাবর্ষের কোনও বই এখনও ছাপানো শুরুই হয়নি।
আরও পড়ুন-বাড়ছে দৈনিক সংক্রমণ, আশঙ্কা চতুর্থ ঢেউয়ের
অথচ অগাস্ট মাসে নতুন ক্লাস শুরু হওয়ার কথা। চলতি সংকটের জন্য আর্থিক বিশেষজ্ঞরা দেশের সরকারি নীতিকেই দায়ী করেছেন। তাঁরা স্পষ্ট জানিয়েছেন, বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের কাছে বিপুল টাকা ঋণ নিয়েছে পাকিস্তান সরকার। সেই ঋণ এখনও পরিশোধ হয়নি। ঋণ শোধ না হলে নতুন করে ঋণ পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। এদিকে দেশের প্রবল আর্থিক সংকট সামাল দিতে সরকারের আয় বাড়াতে তৎপর হয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। সরকার আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে বৃহৎ শিল্প ও শিল্পপতিদের উপর ১০ শতাংশ সুপার ট্যাক্স চাপানোর সিদ্ধান্ত নিল সরকার। এই সুপার ট্যাক্স বাবদ চলতি অর্থবর্ষে পাকিস্তানি মুদ্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা তোলার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।