প্রতিবেদন: দেশজুড়ে চলছে খাদ্যের হাহাকার। রেশন দোকানে এক মুঠো গমের জন্য পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। দেশের আর্থিক (Pakistan’s Economic crisis) পরিস্থিতি এতটাই বেহাল যে আমদানির করার সামর্থ্যও নেই। কয়লা আমদানি করতে না পারায় চরম বিদ্যুৎ সংকট চলছে দেশে। যে কারণে সরকারি অফিস কাছারি সপ্তাহের বেশিরভাগ দিন বন্ধ থাকছে। দোকান বাজার রাত ৮টার মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত এক বছরে দেশের মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে ৩৭.৯৭ শতাংশ। জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া। দুর্দশা বেড়েই চলেছে পাকিস্তানের। এই পরিস্থিতিতেও প্রতিরক্ষা খাতে বিপুল অর্থ বরাদ্দ হল পাক বাজেটে। একলাফে প্রতিরক্ষা খরচ ১৫.৫ শতাংশ বাড়িয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের বাজেটে ১.৮ ট্রিলিয়ন পাকিস্তানি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১ লক্ষ ৮০ হাজার কোটি টাকা।
আরও পড়ুন- বৃহস্পতিবার গুজরাত উপকূলে আছড়ে পড়বে বিপর্যয়
দেশের (Pakistan’s Economic crisis) চলতি পরিস্থিতিতে প্রতিরক্ষা খাতে এই বিপুল অর্থ বরাদ্দ করাটা আদৌ যুক্তিযুক্ত নয় বলেই দাবি করছেন আর্থিক বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, এই মুহূর্তে খাদ্যসংকট মেটানোকেই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত ছিল। কেবল মাত্র ঋণ শোধের ক্ষেত্রে বরাদ্দ অর্থ প্রতিরক্ষা খাতের থেকে বেশি। ব্যাপক খাদ্য সংকট চলছে পাকিস্তানে। রাষ্ট্রসংঘের আশঙ্কা, মাস তিনেকের মধ্যেই দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে সেদেশে। কিন্তু সাধারণ মানুষের কথা না ভেবে শাহবাজ শরিফ সরকার যেভাবে প্রতিরক্ষা খাতে খরচ ১৫.৫ শতাংশ বাড়াল তা সকলকেই অবাক করেছে।