প্রতিবেদন : পাকিস্তানের (Pakistan) আর্থিক পরিস্থিতিও শ্রীলঙ্কার মতোই। এমনটাই দাবি করলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। প্রায় মাস দুই ধরে প্রবল জ্বালানি সংকটে ভুগছে ইসলামাবাদ। পরিস্থিতি সামল দিতে দেশের সম্পত্তি বিক্রি করতে চাইছে পাক সরকার। শনিবারই এ বিষয়ে এক নতুন অর্ডিন্যান্স পাস হয়েছে। ইমরানের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এবার শ্রীলঙ্কার মতোই পাকিস্তানের রাজপথেও প্রতিবাদী মানুষের ঢল নামতে চলেছে।
এই নতুন অর্ডিন্যান্সের ফলে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে দেশের সম্পত্তি বিদেশে বিক্রি করার সময় কেউ তার প্রতিবাদে আদালতে কোনও পিটিশন দাখিল করতে পারবে না। করলেও আদালত সেই আবেদন গ্রাহ্য করবে না। আপাতত ২ থেকে আড়াই বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঘরে তোলা লক্ষ্য শাহবাজ সরকারের। দেশের তেল ও গ্যাস সংস্থার শেয়ার এবং সরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র সংযুক্ত আমিরশাহীকে বিক্রি করে বিদেশি মুদ্রা কোষাগারে তুলতে মরিয়া পাকিস্তান। সেই লক্ষ্যেই এই অর্ডিন্যান্স আনা হয়েছে। মে মাসেই আরবের দেশটি জানিয়েছিল, পুরনো ঋণ শোধ করতে না পারায় তারা পাকিস্তানকে (Pakistan) আর কোনও অর্থসাহায্য করবে না। এই পরিস্থিতিতে ঋণ শোধ করতে দেশের সম্পত্তি বিক্রি করা ছাড়া শাহবাজ সরকারের কাছে আর কোনও উপায় নেই।
আরও পড়ুন: নিজেকে আন্ডারডগ বলে মনে করছেন ঋষি সুনাক
এই অর্ডিন্যান্স পাস হওয়ায় ইমরান মনে করছেন, আসিফ আলি জারদারি ও শরিফ পরিবার তাদের অবৈধ সম্পত্তি বাঁচাতে তিন মাসের মধ্যেই পাকিস্তানকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভাবে দেউলিয়া হওয়ার দিকে ঠেলে দিয়েছে। তিনি বলেন, দেশের চলতি পরিস্থিতিতে তিনি পরিবর্তনের যে ডাক দিয়েছেন তাতে সাড়া দেবে পাকিস্তানের আমজনতা। উল্লেখ্য, করোনা মহামারীর জেরে পাক অর্থনীতিও মুখ থুবড়ে পড়েছে। রফতানির তুলনায় আমদানি বিপুল হারে বেড়ে যাওয়ায় বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে।