বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, আলিপুরদুয়ার : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে দুর্গম বক্সাতেও পৌঁছে গিয়েছে উন্নয়ন। বক্সা পাহাড়ে হয়েছে স্বাস্থ্যকেন্দ্র। এবার ওই দুর্গম পথ পেরিয়ে পৌঁছে যাবে অ্যাম্বুল্যান্স।
পাহাড় কেটে কোনওরকম হয়েছে রাস্তা। গাড়ি ওঠাই যেখানে দুষ্কর সেই দুর্গম বক্সায় চালু হল অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা! আর পাঁচটা অ্যাম্বুল্যান্সের থেকে এটি আলাদা। পালকি অ্যাম্বুল্যান্স। রাজ্যে তো বটেই, দেশের মধ্যে সম্ভবত প্রথম এই ভাবনা। বুধবার বিকেল থেকে শুরু হয়েছে বক্সা পাহাড়ের জিরো পয়েন্ট থেকে এই অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা। সিনচুলা পাহাড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বক্সা, লেপচাখা, তাসিগাঁওয়ের মতো ১৩টি পাহাড়ি গ্রাম।
আরও পড়ুন : স্থাপত্য বাঁচাতে উদ্যোগ
আর এই সমস্ত গ্রামে বসবাসকারী বাসিন্দাদের চিকিৎসা সংক্রান্ত জরুরি প্রয়োজনে, বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলাদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আনতে বাঁশের মাচায় কাপড় বেঁধে কাঁধে করে ঝুলিয়ে আনতে হত খুব ঝুঁকি নিয়ে। এখানকার মহিলাদের বেশির ভাগই এই ফাইভ জি’র যুগেও বাড়িতেই সন্তান প্রসব করেন পাহাড়ের দুর্গমতার কারণে। তবে এবার তাঁদের সমস্যা মিটতে চলেছে এই পালকি অ্যাম্বুল্যান্সের হাত ধরে। এই পালকি অ্যাম্বুল্যান্সে অন্যান্য অ্যাম্বুল্যান্সের মতোই প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জাম রাখা থাকবে। থাকবে একটি মিনি অক্সিজেন সিলিন্ডার, স্যালাইনের ব্যাবস্থা, এমনকী গরম জল ও বাচ্চা রাখার আলাদা বিছানাও। যাঁরা এই পালকি, মানে অ্যাম্বুল্যান্স বহন করবেন তাঁদের জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকে প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে।
বুধবার এই পরিষেবার উদ্বোধন করেন জেলাশাসক সুরেন্দ্র কুমার মিনা। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফ থেকে স্বাস্থ্য দফতরের সহায়তায় এই পরিষেবা চালু হল বক্সায়। রেকর্ড তৈরি করে এই অ্যাম্বুল্যান্সের নাম হয়তো পৌঁছে যাবে গিনেস বুকেও। এক কথায়, এই পরিষেবা দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।