সংবাদদাতা, দেগঙ্গা : রাজ্যের সব পঞ্চায়েত প্রধানরা নাকি পাঁচ কোটি টাকার মালিক, সম্প্রতি বসিরহাটে মহিলা মোর্চার এক অনুষ্ঠানে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা অভিযোগ করেছিলেন। তাঁর এমন কুরুচিকর মন্তব্য যে সর্বৈব মিথ্যা তারই জ্বলন্ত উদাহরণ উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হারান দাস। শাসকদলের পঞ্চায়েত প্রধান লটারির টিকিট বিক্রি করে সংসার চালান।
আরও পড়ুন-কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মানছেন পঞ্চায়েতে দুর্নীতি নেই, তাহলে টাকাটা দিন
রাজনৈতিক ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে থেকেও তাঁর এই সততা এলাকার মানুষকে মুগ্ধ করেছে। বিরোধীরা কটাক্ষ করলেও তাকে পাত্তা না দিয়ে সৎ পথে খেটে খাওয়ার এই পন্থা দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে দেগঙ্গার হাদিপুর জিকরা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। হারান পঞ্চায়েতের সামনে বাজারে বসেই লটারি বিক্রি করে দীর্ঘ ৩০ বছর। হারানের দাবি, পঞ্চায়েত থেকে যে ভাতা পাই তা দিয়ে সংসার চলে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল করি। সততার প্রতীক আমাদের দিদি। তাই পঞ্চায়েত ও দলের কাজ বাদে সকাল-সন্ধে লটারির ব্যবসা করি। অনেকে উপহাস করে, তাতে কিছু যায়-আসে না। ভাতা ছাড়া পঞ্চায়েত থেকে অন্য কোনও উপায়ে আয় আমি চাই না।