কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মানছেন পঞ্চায়েতে দুর্নীতি নেই, তাহলে টাকাটা দিন

কিন্তু কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী কপিল মোরেশ্বর পাতিল বুঝিয়ে দিলেন, এই সব অভিযোগের আদৌ কোনও ভিত্তি নেই।

Must read

সংবাদদাতা, হাওড়া : মুখ পুড়ল রাজ্য বিজেপির। পঞ্চায়েতের কাজকর্ম নিয়ে বারবার অভিযোগ জানাচ্ছিলেন বঙ্গবিজেপির নেতারা। কিন্তু কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী কপিল মোরেশ্বর পাতিল বুঝিয়ে দিলেন, এই সব অভিযোগের আদৌ কোনও ভিত্তি নেই। তা সর্বেব মিথ্যে। তাঁর কথাতেই পরিষ্কার, বাংলায় ভালই চলছে পঞ্চায়েত দফতরের কাজকর্ম। তাঁর এই কথার সূত্র ধরেই রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী পুলক রায় দাবি করেছেন, ১০০ দিনের কাজ, গ্রামীণ আবাস যোজনা, গ্রাম সড়ক যোজনার মতো বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের বকেয়া টাকা অবিলম্বে মিটিয়ে দিক কেন্দ্র। এখন এটা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরই নৈতিক কর্তব্য।

আরও পড়ুন-জলোচ্ছ্বাসে ভাঙছে বাঁধ

পুলকের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলার প্রতিটি পঞ্চায়েতে জোরকদমে চলছে উন্নয়নের কাজ, এ কথাটা আমরা বারবার বলে এসেছি। অধিকাংশ প্রকল্পেই পশ্চিমবঙ্গ সাফল্যের নিরিখে সারা দেশে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। খোদ কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রীর কথাতেই তা স্পষ্ট হয়ে গেল। এখন তাঁরই নৈতিক কর্তব্য ১০০ দিনের কাজ, গ্রামীণ আবাস যোজনা, গ্রাম সড়ক যোজনার মতো বিভিন্ন প্রকল্পে এই রাজ্যের প্রাপ্য বকেয়া অর্থ দ্রুত মিটিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা। আমরা তাঁকে অনুরোধ করব, রাজ্যের গরিব মেহনতি মানুষের শ্রমের পাওনা টাকা ১০০ দিনের প্রকল্পের বকেয়া অর্থ শীঘ্রই দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। গ্রামীণ সড়ক যোজনা, আবাস যোজনার মতো বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পে এই রাজ্যের বকেয়া টাকা যাতে কেন্দ্র আর আটকে না রাখে তাঁর জন্যেও আমরা অনুরোধ করছি। এরপরেও রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পে প্রাপ্য অর্থ আটকে না রেখে কেন্দ্র তা মিটিয়ে দেয় কি না সেটাই এখন দেখার।

Latest article