মণীশ কীর্তনীয়া : গার্ডেনরিচের ১৩৪ নং ওয়ার্ড। কলকাতার পুরনির্বাচনের এখনও পর্যন্ত একমাত্র ওয়ার্ড যেখানে ভোট হওয়ার আগেই কার্যত ওয়াক ওভার পেয়ে গিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শামস ইকবাল। কারণ, এই ওয়ার্ডে বাম- কংগ্রেস প্রার্থী দেয়নি। বিজেপি প্রার্থী দিয়েছিল বটে। কিন্তু প্রার্থী তাঁর দলের বিরুদ্ধেই প্রতারণার অভিযোগ এনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছে। নিট ফল তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শামস ইকবাল একরকম জিতেই গিয়েছেন। একপ্রকার খেলা শুরুর আগেই খেলা শেষ। শামস ইকবাল দ্বিতীয় বারের জন্য প্রার্থী হয়েছেন। ওয়ার্ডকে সাজিয়েছেন গুছিয়েছেন মনের মতো করে। এই অঞ্চলে নিত্য যাতায়াত আছে যাঁদের তাঁদের চোখে পরিবর্তনটা আরও বেশি করে চোখে পড়ে। আর মাঝেমধ্যে যদি এই এলাকায় কেউ যান তো তার অবাক হওয়া ছাড়া উপায় নেই।
আরও পড়ুন : সরকারি প্রকল্প নিয়ে দুর্নীতি কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন
একঝলকে দেখে বোঝার উপায় নেই লেকটাউন নাকি গার্ডেনরিচ। কেননা লেকটাউনের মতো এখানেও ঘড়িযুক্ত ক্যালকাটা আই। যে কোনও দিন সন্ধেবেলায় গেলে একলহমায় পার্ক স্ট্রিট বলে বিভ্রম হওয়া অস্বাভাবিক নয়। গোটা এলাকাটা আলো-ঝলমলে। রাস্তার পাশে শিশুদের জন্য পার্ক। সেটাও তার আশপাশের এলাকায় এমন সব আলোকসজ্জা দেখে মনে হতে বাধ্য বড়দিন বা বর্ষবরণের রাতের উদ্যাপনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এলাকার মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা রয়েছে। জিতে গেছেন জেনেও রোজ নিয়ম করে দুবেলা প্রচারে বেরোচ্ছেন। বললেন, কে প্রার্থী দিল না, কে মনোনয়ন প্রত্যাহার করল এসব নিয়ে ভাবছি না। প্রার্থী হিসেবে তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেসের কথা বলা তাঁর সরকারের উন্নয়নকে তুলে ধরা তাঁর দায়িত্ব। তিনি তাই করছেন। বাকিটা মানুষ ঠিক করবেন। এলাকার মানুষের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রাখেন সারা বছর। শামস ইকবাল বললেন, কাজ শেষ হয় না কখনও। ওয়ার্ডের বেশিরভাগ কাজই করেছেন। আরও নতুন কাজ কী করা যায় ভাবছেন তা নিয়ে। যতই নিজে মুখে না বলুন চ্যাম্পিয়ন ট্রফি তো তাঁর হাতেই উঠতে চলেছে।