নবনীতা মণ্ডল, নয়াদিল্লি : আলোচ্যসূচি না জানিয়ে সংসদে ১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৫ দিনের বিশেষ অধিবেশন ডেকেছে কেন্দ্র। মঙ্গলবার সংসদের বিশেষ অধিবেশনকে সামনে রেখে বিরোধী রণকৌশল ঠিক করতে ইন্ডিয়া জোটের সংসদীয় প্রতিনিধি দলের মধ্যে বৈঠক হয় কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের বাসভবনে। এখনও পর্যন্ত সামনে আসেনি বিশেষ অধিবেশনের আলোচ্যসূচি। এই পরিস্থিতিতে মোদি সরকারের অগণতান্ত্রিক পরিকল্পনার বিরুদ্ধে যাতে সংসদে একসুরে কথা বলতে পারে ‘ইন্ডিয়া’, তারই প্রস্তুতি নিতে মঙ্গলবারের বৈঠক। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন।
আরও পড়ুন-মোক্ষম কটাক্ষ ছুঁড়লেন কেজরি
বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার ভয়ে যেভাবে দেশের নাম বদলাতে নেমেছে কেন্দ্র এদিন তার কড়া সমালোচনা করেন বিরোধী নেতারা। এছাড়া পাঁচ রাজ্যের ভোটের পাশাপাশি আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনের জন্য কৌশল তৈরি নিয়েও আলোচনা হয়। পাশাপাশি এক দেশ- এক ভোট, মহিলা সংরক্ষণ বিল, আদানিদের অনিয়ম-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে মতবিনিময় হয়। মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, এই বিল সংসদে কার্যকর করার আগেই মহিলাদের ৩০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত করেছে তৃণমূল। বিজেপির মহিলা সাংসদ ১৪ শতাংশ আর তৃণমূলের মহিলা সাংসদ ৩০ শতাংশ।
আরও পড়ুন-মণিপুর নিয়ে রাষ্ট্রসংঘে মুখ পুড়ল মোদি সরকারের
ইন্ডিয়া শিবিরের বৈঠকের পাশাপাশি কংগ্রেস চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধীর দলীয় বৈঠকেও উঠে আসে বিভিন্ন রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন, আসন সমঝোতা, সরকারিভাবে ইন্ডিয়ার বদলে ভারত নামের ব্যবহার সহ একাধিক ইস্যু। বিজেপিকে আক্রমণ করে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেন, যেটা শুনেছিলাম, সেটাই সত্যি! রাষ্ট্রপতি ভবনে জি-২০ নেতাদের নৈশভোজের আমন্ত্রণপত্রে লেখা হয়েছে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’, অথচ চিরাচরিতভাবে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া’ লেখাই দস্তুর। মোদি ইতিহাসকে বিকৃত করে ভারতকে বিভক্ত করতে নেমেছেন।