সংবাদদাতা, দিঘা : দক্ষিণ পূর্ব রেলের খড়গপুর ডিভিশনের ট্রেন চলাচল ও পরিষেবা নিয়ে বাড়ছে ক্ষোভ। যাত্রীদের প্রশ্ন, দিঘা-পাঁশকুড়া রুটের সব লোকাল ট্রেন বন্ধ। কান্ডারি এক্সপ্রেস উধাও। তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেসের আনরিজার্ভড কম্পার্টমেন্ট নেই। রোজ ওয়েটিং লিস্ট হচ্ছে। দু’জোড়া নরমাল ট্রেন, ৩টি এক্সপ্রেস ট্রেন বন্ধ রেখে, সপ্তাহে ৪ দিন একটি স্পেশাল ট্রেন চালিয়ে সমস্যার সমাধান সম্ভব? ইদের পর ট্রেনে অস্বাভাবিক ভিড়। মহিলাদের সম্ভ্রম বজায় রেখে ট্রেনে যাতায়াত করা রীতিমতো দায়। বিকেলে দিঘা (Digha) থেকে ফেরার লোকাল ট্রেন (Train) নেই। দিঘা-সাঁতরাগাছি ট্রেনকে হাওড়া পর্যন্ত চালানো হয় না। অসুস্থ ও বয়স্কদের জন্য পুনরায় কনশেসন চালু হয়নি। ভিড় ট্রেনে নিত্যযাত্রীরা উঠতে পারেন না। গোদের উপর বিষফোড়া, তমলুক, দিঘা, মেচেদা, পাঁশকুড়া-সহ বিভিন্ন স্টেশনে কিছু অসাধু রেলকর্মীর মদতে তৎকাল-সহ টিকিট রিজার্ভেশনে দালালচক্র গজিয়ে ওঠা। তমলুক স্টেশনে অসাধু চক্রের লোকজন কাউন্টারে দাঁড়িয়ে সব তৎকাল টিকিট কেটে নিচ্ছে। সেগুলো ব্ল্যাকে আড়াই থেকে তিন হাজার টাকায় বিক্রি করছে। বিমল ও বীরেন নামে এলাকার দু’জন রেলের কিছু ব্যক্তির সঙ্গে মিলে এই চক্র চালায় বলে অভিযোগ। এদের জন্যই ট্রেনের টিকিট রিজার্ভেশন ও তৎকাল টিকিট পেতে হয়রানির শিকার হন যাত্রীরা। ৩০ এপ্রিল রেলওয়ে বোর্ড অফ মিনিস্টার্সের ‘প্যাসেঞ্জার আমেনিটিজ কমিটি’-র সদস্য তথা রেলের ইস্ট জোনের কো-অর্ডিনেটর অভিজিৎ দাস তমলুক, দিঘা (Digha), মেচেদা ও পাঁশকুড়া স্টেশনে সারপ্রাইজ ভিজিট করেন। এই চক্রের কার্যকলাপ অচিরে বন্ধ না হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেন। তবে যাত্রীরা বলছেন, ‘‘আধিকারিকরা স্পেশাল ট্রেনে (Train) ভিজিট করেন। ভিড় ট্রেনে করেন না। এটা প্রহসন।’’ ডিভিশনাল ম্যানেজারকে অভিযোগ জানিয়েও দিঘার ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়নি। এরই প্রতিবাদে ‘নাগরিক প্রতিরোধ মঞ্চ’ ৫ দফা দাবিতে শুক্রবার কাঁথির স্টেশন ম্যানেজারকে স্মারকলিপি দেয়।
আরও পড়ুন: অবিলম্বে ভারতের জনগণকে কষ্ট দেওয়া বন্ধ করতে হবে, রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সরব মুখ্যমন্ত্রী