নাজির হোসেন লস্কর: ২০২৪ হজের জন্য ভারত থেকে যাত্রা শুরু হল৷ বৃহস্পতিবার দেশের মধ্যে প্রথম উড়ানটি সৌদির উদ্দেশে রওনা দেয় রাজধানী দিল্লি থেকে৷ এদিন মধ্যরাত আড়াইটে নাগাদ ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ২৮৫ জন যাত্রী নিয়ে বিমানটি পবিত্র শহর মদিনায় পাড়ি দেয়৷ দিল্লির পাশাপাশি হায়দরাবাদ, শ্রীনগর, বাংলা থেকেও এদিন হজযাত্রীদের নিয়ে নবী সা.–এর জন্মভূমির উদ্দেশে বিমান ছাড়ে৷ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে অন্যতম ফরজ এবাদত হজ। প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন রাজ্যের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ থেকে কয়েক হাজার যাত্রী হজ সম্পন্ন করতে মক্কায় উপস্থিত হন।
আরও পড়ুন-বিশ্বকাপ বিরাটের প্রাপ্য : যুবরাজ
বৃহস্পতিবার কলকাতা থেকে ছেড়ে যাওয়া ৪টি বিমানে ৯১৭ হজযাত্রী সৌদির উদ্দেশে রওনা দিলেন৷ তবে কলকাতার আবহাওয়া প্রতিকূল হওয়ায় নির্ধারিত সময়ে বিমান ছাড়তে বিলম্ব হয়৷ এদিন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকেই হজের প্রথম উড়ানের ছাড়ার সময় ছিল দুপুর ১.১৫ মিনিটে৷ আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় সেটি ছাড়ে ৩টের কিছু সময় পর৷ ৪টি বিমানই একই কারণে ছাড়তে দেরি হয়৷ মূলত উত্তরের জেলা আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দার্জিলিং, দুই দিনাজপুর ও মালদহের ৩২৪ যাত্রী প্রথম দুই উড়ানে রওনা দেন মদিনার উদ্দেশে৷ বাকি দুই বিমানে উত্তরের জেলাগুলির সঙ্গে পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডের রাঁচি, পাকুড় ও সাহেবগঞ্জ থেকে আসা ৫৯৩ হজযাত্রী ছিলেন৷ কলকাতা থেকে হজযাত্রীদের তত্ত্বাবধানে ছিল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য হজ কমিটি৷ হজযাত্রীদের অভিনন্দন জানাতে উপস্থিত ছিলেন সংখ্যালঘু দফতরের প্রধান সচিব পি বি সালিম, বিশেষ সচিব শাকিল আহমেদ, হজ কমিটির কার্যনির্বাহী আধিকারিক মুহাম্মদ নকি, রাজ্য সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান আহমেদ হাসান ইমরান, মওলানা শফিক কাশেমী, ইমামে ইয়াদাইন ক্বারি ফজলুর রহমান, একেএম ফারহাদ, কুতুবউদ্দিন তরফদার, এহসান আলি, সাহিদ আকবর, সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ৷ আগত হজযাত্রীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বিশিষ্টরা। মুহাম্মদ নকি জানান, আবহাওয়া খারাপ থাকায় এদিনের বিমানগুলি ছাড়তে একটু দেরি হয়৷ তবে যাত্রীদের কোনওসময় সমস্যা হয়নি৷ সরকারিভাবে তাঁদের জন্য সবরকম ব্যবস্থা ছিল৷
আরও পড়ুন-বেআইনি রেলের বাঁধ, আটকাল বন দফতর
এ বছর কলকাতা হয়ে ১০ হাজারের মতো যাত্রী হজে যাবেন৷ বাংলা থেকে প্রায় ৫,৬০০ জন মানুষ হজে যাবেন৷ পাশাপাশি পড়শি ৬ রাজ্য অসম, মণিপুর, ত্রিপুরা, ওড়িশা, বিহার ও ঝাড়খণ্ড থেকে কলকাতা বিমানবন্দর হয়ে সৌদি যাবেন৷ কলকাতা থেকে ৩৪টি উড়ান মদিনার উদ্দেশে যাবে৷ ২৫ মে রওনা দেবে শেষ উড়ানটি৷