স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরণের বিল পাশ, বেসরকারি ক্ষেত্রে আরও নজর

বহু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। সেহেতু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ জরুরি।

Must read

প্রতিবেদন : বেসরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারিকে কঠোর করতে স্বাস্থ্য জেলার কর্তাদের প্রশাসনিক ক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে। এই উদ্দেশ্যে ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট রেজিস্ট্রেশন রেগুলেশন অ্যান্ড ট্রান্সপারেন্সি আইনের একটি সংশোধনী বুধবার রাজ্য বিধানসভায় গৃহীত হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, দেশে কোথাও স্বাস্থ্য জেলা নেই। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং স্বাস্থ্য পরিষেবাকে তৃণমূল স্তরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ২০১২ সালে স্বাস্থ্য জেলা করা হয়। স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক-এর পদমর্যাদা ও ক্ষমতা একই।

আরও পড়ুন-বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতাদের নিয়ে চিন্তন বৈঠক

তবু এতদিন বেসরকারি স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষমতা স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের ছিল। আইনে সংশোধনী এনে এবার স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের রেজিস্ট্রেশনের ক্ষমতা প্রদান করা হল। বিরোধীদের সমালোচনার জবাবে তিনি জানান, সরকার কাছের সব মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প করেছে। তবুও যাঁর ইচ্ছা তিনি সরকারি জায়গায় চিকিৎসা করাবেন এবং যিনি চাইবেন তিনি বেসরকারি জায়গায় চিকিৎসা করাবেন। বহু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। সেহেতু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ জরুরি।

আরও পড়ুন-আলিমুদ্দিনকে কড়া বার্তা দিল্লির

মন্ত্রীর বক্তব্য, এই আইনের সংশোধনী এনে স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে রেজিস্ট্রেশনের ক্ষমতা দেওয়া হলে বিকেন্দ্রীকরণ হবে এবং মানুষ তার সুবিধা পাবেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর সার্বিক উন্নতি করেছেন। এখন রাজ্যে পাঁচটি স্বাস্থ্য জেলা আছে— বসিরহাট, নন্দীগ্রাম, রামপুরহাট, ডায়মন্ড হারবার এবং বিষ্ণুপুর। বাম আমলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল অবস্থায় ছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি। তার বক্তব্যের সময় অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা। বিরোধীদের ওয়াকআউট নিয়ে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, বাম জমানার কথা বলতেই বিজেপি চলে গেল। এটা অদ্ভুত ব্যাপার। বিরোধীরা বলেন কিন্তু শোনেন না।

Latest article