প্রতিবেদন : হঠাৎই এনসিপি প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানালেন প্রবীণ নেতা শারদ পাওয়ার। একই সঙ্গে পাওয়ার বলেছেন, আমি জনজীবন থেকে অবসর নিচ্ছি না। আমি আপনাদের সঙ্গে ছিলাম, শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত আছি এবং থাকব। এদিন দলীয় নেতা ও কর্মীরা পাওয়ারকে তাঁর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান। দলের পরবর্তী সভাপতি নিয়োগ করার জন্য তিনি একটি কমিটি গঠন করেছেন। ওই কমিটিতে রয়েছেন বিদ্রোহী নেতা অজিত পাওয়ার।
আরও পড়ুন-তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমা
এদিন অজিত বলেছেন, ইস্তফার বিষয়ে দলের সিদ্ধান্তই মেনে নেবেন সদ্য প্রাক্তন সুপ্রিমো। তাঁকে দলের তরফে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের অনুরোধ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, পাওয়ার তাঁর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে রাজি হয়েছেন৷
বিজেপির সঙ্গে এনসিপির জোটের রাস্তা পরিষ্কার করতেই পাওয়ার পদত্যাগ করলেন কি না, সেই প্রশ্ন জোরদার হচ্ছে। কারণ পাওয়ার এবং তাঁর ভাইপো অজিতের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বেশ কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে। এই দুর্নীতিকাণ্ডে সিবিআই, ইডির মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির হাত থেকে রক্ষা পেতে অজিত পাওয়ার বিজেপি জোটে ফিরতে পা বাড়িয়ে রেখেছেন।
আরও পড়ুন-১৯ দিনে দ্বিতীয় খুন, নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন, ফের বন্দি-সংঘর্ষ তিহারে, নিহত বিচারাধীন গ্যাংস্টার
লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধী জোট গড়তে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছেন পাওয়ার। কিন্তু পাওয়ার দলীয় প্রধান থাকাকালীন এনসিপি বিজেপির হাত ধরলে সেটা তাঁর পক্ষে লজ্জাজনক হত। সে কারণেই কি এনসিপি- বিজেপির জোটের রাস্তা পরিষ্কার করতে পাওয়ার সরে দাঁড়ালেন? কয়েকদিন আগে পাওয়ার-আদানির বৈঠক হয়। আদানির বিরুদ্ধে তদন্ত নিয়ে দেশের প্রতিটি বিরোধী দল সরল হলেও এ বিষয়ে প্রকাশ্যে অনীহা প্রকাশ করেছেন পাওয়ার। পাওয়ার-আদানির ঘনিষ্ঠতা থেকেই অন্য সমীকরণের ইঙ্গিত উঠে আসছে।