নয়াদিল্লি : পেগাসাস স্পাইওয়্যার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের তৈরি টেকনিক্যাল কমিটি অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন শীর্ষ আদালতে জমা দিয়েছে। পেগাসাসের মাধ্যমে বেআইনি নজরদারির অভিযোগ নিয়ে তদন্তের জন্য এই বিশেষ কমিটি তৈরি করে দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। কমিটির অন্তর্বর্তী রিপোর্ট পর্যালোচনা সহ পেগাসাস নিয়ে ফের শুনানি বুধবার। ভারতের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামান্নার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ আজ অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন সহ মুলতুবি পিটিশনগুলি বিবেচনা করবে।
আরও পড়ুন-আলোচনাই পথ
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গত ২৭ অক্টোবর গান্ধীনগরের জাতীয় ফরেনসিক সায়েন্সেস ইউনিভার্সিটির ডিন ড. নবীনকুমার চৌধুরীকে নিয়ে তিন সদস্যের টেকনিক্যাল কমিটি গঠিত হয়েছিল। বহু বিতর্কিত পেগাসাস দিয়ে নজরদারি চালানো হয়েছিল কি না আদালতের এই প্রশ্নে কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি। মোদি সরকার। উল্টে, বারবার দেশের নিরাপত্তার যুক্তিকে ঢাল বানিয়ে মূল প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রের এই ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে নজরদারির অভিযোগ তদন্ত করে দেখার জন্য কমিটি গড়ে দেয় খোদ শীর্ষ আদালত।
আরও পড়ুন-২৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি দ্রুততম ভারতীয়ের শিরোপা বঙ্গতনয়ার
কমিটির অন্য দুই সদস্য কেরলের অমৃতা বিশ্ব বিদ্যাপীঠমের অধ্যাপক ড. পি প্রবাহরণ এবং মুম্বই আইআইটির অধ্যাপক ড. অশ্বিন অনিল গুমাস্তে। এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আর ভি রবীন্দ্রনকে কমিটির কাজ তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয়। কমিটিকে সহায়তা করার দায়িত্ব দেওয়া হয় প্রাক্তন আইপিএস অফিসার অলোক যোশী এবং সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ড. সুন্দীপ ওবেরয়কে। ইজরায়েলি সংস্থা এনএসও-র তৈরি পেগাসাস এদেশে বেআইনিভাবে ব্যবহারের অভিযোগ নিয়ে তদন্ত চেয়ে ১২টি পিটিশন জমা পড়ে। এর প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি রামান্না, বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং হিমা কোহলির বেঞ্চ অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখতে বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করে। আজ পেগাসাস শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট নতুন কী নির্দেশ দেয় তা নিয়ে কৌতূহল সব মহলে।