সপ্তাহের শুরুতেই পেগাসাস ইস্যুতে সংসদে উঠল ঝড়। সেই সঙ্গে পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি ও কেন্দ্রীয় কৃষি আইন নিয়ে উত্তাল হল সংসদ। সোমবার বিরোধীদের দফায় দফায় বিক্ষোভে ভেস্তে গেল দুই কক্ষের অধিবেশন। জোটবদ্ধ বিরোধীদের এককাট্টা মনোভাবের কার্যত ল্যাজেগোবরে হল কেন্দ্রীয় সরকার। সংসদের ভিতরে পেগাসাস ইস্যুতে সরব ও সক্রিয় তৃণমূল কংগ্রেস। লোকসভা ও রাজ্যসভায় পেগাসাস ইস্যুতে মুলতবি প্রস্তাব এনেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা। টেলিফোনে আড়ি পাতার ঘটনায় নরেন্দ্র মোদির বিবৃতি করেছে দল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে। সংসদে সরকারকে কোণঠাসা করতে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদরা।
আরও পড়ুন : জ্বালানি আগুন: সরব অভিষেক, সংসদে সদুত্তর নেই মন্ত্রীর
কড়া ট্যুইট করে রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন লেখেন, পেগাসাস ইস্যুতে দায়ী কে, সরকারকে জানাতেই হবে। সাংবাদিক, রাজনৈতিক বিরোধী, বিচারবিভাগের সদস্য, ক্যাবিনেট সদস্যদের পাশাপাশি ছাড়া হচ্ছে না সেনাকেও। সর্বত্র নজরদারি চলছে। এরমধ্যেই সোমবার দিল্লি পৌঁছেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আড়ি পাতা ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলিকে ঐক্যবদ্ধ করতে সোনিয়া গান্ধী-সহ একাধিক বিরোধী নেতার সঙ্গে তাঁর আলোচনা হওয়ার কথা। এদিনই কলকাতায় পেগাসাস নিয়ে তদন্ত কমিশন ঘোষণার নির্দেশ দিয়েছেন নেত্রী।
আরও পড়ুন: চিনের জিহুইকে ডোপ টেস্টের নির্দেশ, ব্যর্থ হলে সোনা পাবেন চানু
এদিকে লোকসভার তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যােপাধ্যায় জানান, পেগাসাস স্পাই ওয়্যারকে কাজে লাগিয়ে কীভাবে ফোনে আড়ি পাতা হয়, তা নিয়ে সম্পূর্ণ ধারণা ছিল না লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার। ক’দিন আগেই দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যােপাধ্যায়কে নিয়ে আমি স্পিকার ওম বিড়লার সঙ্গে দেখা করি। বিষয়টি বোঝান অভিষেক। অভিষেকের মুখে সবটা শুনে স্তম্ভিত হয়ে যান স্পিকার।