পেগাসাস ফের সুপ্রিম কোর্টে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর ও তদন্ত চেয়ে আবেদন

Must read

নবনীতা মণ্ডল, নয়াদিল্লি : পেগাসাস (Pegasus) নিয়ে ফের মামলা হল সুপ্রিম কোর্টে। সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত বিস্ফোরক রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতে নতুন করে আবেদন করেছেন আইনজীবী এম এল শর্মা। তাঁর আর্জি, নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত খবরটিতে গুরুত্ব দিয়ে এফআইআর দায়ের করে অভিযোগের তদন্ত হোক।
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যেই পেগাসাস (Pegasus) স্পাইওয়্যার নিয়ে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করতে প্রাক্তন বিচারপতির তত্ত্বাবধানে একটি কমিটি গঠন করেছে।

সেই তদন্ত চলাকালীন নিউইয়র্ক টাইমসের রিপোর্টটি প্রকাশ্যে আসার পর ফের পেগাসাস নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে। নিউইয়র্ক টাইমসের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ইজরায়েল সফরের সময় ভারত সরকার ২০০ কোটি ডলারের প্রতিরক্ষা চুক্তি করে। সেই চুক্তিতে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা সহ অন্যান্য প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার প্যাকেজের সঙ্গেই পেগাসাস কিনেছিল মোদি সরকার। বিরোধী রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে অপছন্দের আমলা, মন্ত্রী, প্রতিবাদী বিশিষ্টজন, সমাজকর্মী, বিচারপতি, সাংবাদিক সহ দেশের বহু মানুষের ফোনে পেগাসাস সফটওয়্যার বেআইনিভাবে ব্যবহার করে নজরদারি চালানোর অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। জাতীয় নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে পেগাসাস সম্পর্কিত সব তথ্য এড়িয়ে গিয়েছে সরকার। কিন্তু নাগরিকদের ব্যক্তি স্বাধীনতা লঙ্ঘন করে যে নজরদারি চলেনি, তেমন দাবিও সুপ্রিম কোর্টে করতে পারেনি সরকার।

পেগাসাস ইস্যুতে দেশবাসীর কোনও প্রশ্নেরই সদুত্তর শীর্ষ আদালতে দিতে পারেনি কেন্দ্র। তারপরেই ক্ষুব্ধ সুপ্রিম কোর্ট কমিটি গঠন করে পেগাসাস নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। এই অবস্থায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে নিউইয়র্ক টাইমসের বিস্ফোরক প্রতিবেদন। অতীতেও বহু তদন্তমূলক প্রতিবেদনের মাধ্যমে বড় বড় কেলেঙ্কারি ফাঁস করেছিল এই নামী সংবাদপত্র। এবার পেগাসাস ইস্যুতে তাদের ফাঁস করা তথ্যে দেখা যাচ্ছে খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর উপর গুপ্তচরবৃত্তি করার জন্য পেগাসাস কিনেছেন ইজরায়েলের থেকে। উল্লেখ্য, পেগাসাস সরবরাহকারী ইজরায়েলি সংস্থাও এর আগে স্পষ্ট করে দেয়, দেশের সরকার ছাড়া কাউকে এই সফটওয়্যার বিক্রি করা হয় না।
পেগাসাস নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রত্যক্ষ যোগসাজশের অভিযোগ সামনে আসার পর এখন সুপ্রিম কোর্টে দাখিল হওয়া নতুন আবেদনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রের বেআইনি নজরদারিতে যুক্ত কর্মকর্তা ও কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করে তদন্ত শুরু করা হোক।

Latest article