দোহা: টাইব্রেকার চলাকালীন জায়ান্ট স্ক্রিনে বারবার ভেসে উঠেছিল তাঁর মুখ। আকাশের দিকে তাকিয়ে বিড়বিড় করে কিছু বলছিলেন। মারকুইনহোসের পেনাল্টি পোস্টে লেগে ফিরে আসতেই নেইমার দ্য সিলভা ভেঙে পড়লেন কান্নায়। চার বছর ধরে তিল তিল করে গড়ে ওঠা স্বপ্নটা যে এক লহমাতেই শেষ!
বিধ্বস্ত নেইমার (Neymar) জানিয়ে দিচ্ছেন, জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপিয়ে আর মাঠে নামবেন কি না, ভেবে দেখবেন! টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, এটাই সম্ভবত তাঁর শেষ বিশ্বকাপ। নেইমারের বক্তব্য, ‘‘এই হার দুঃস্বপ্নের মতো। এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না, বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েছি! ক্ষতটা দীর্ঘদিন যন্ত্রণা দেবে। দুঃখটা ভুলতে সময় লাগবে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘বাড়ি ফিরে কাঁদব। জাতীয় দলে হয়ে আর খেলব কি না, ভাবতে হবে। এটা বলতে চাই না যে, আর কোনও দিন খেলবই না। তবে এটাও ঘটনা, নতুন মুখ উঠে এসেছে। তাই ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে হবে।’’
আরও পড়ুন-লিভাকোভিচের কাছে মদ্রিচই বিশ্বসেরা
ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে গোল করে ব্রাজিলের জার্সিতে পেলের সবথেকে বেশি গোলের রেকর্ড (৭৭টি) স্পর্শ করেছেন নেইমার (Neymar)। কঠিন সময়ে ফুটবল সম্রাটের বার্তা, ‘‘তোমাকে বেড়ে উঠতে দেখেছি। আমার রেকর্ড স্পর্শ করার জন্য অভিনন্দন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে দিনটা আমাদের জন্য ভাল গেল না। তবে তুমি আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস। এগিয়ে যাও। ব্রাজিলের জার্সিতে তোমার দায়িত্ব এখনও শেষ হয়নি।’’
হারের পর দায়িত্ব ছাড়লেন কোচ তিতেও। তাঁর বক্তব্য, ‘‘এই হার মেনে নেওয়া কঠিন। আমাকে যা দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তা শেষ হয়েছে। দেড় বছর আগেই বলেছিলাম, বিশ্বকাপের ফল যাই হোক, সরে দাঁড়াব।’’ টাইব্রেকারে নেইমার কেন প্রথম চারটে শটের একটি নিলেন না। এ নিয়ে তোপের মুখে পড়া ব্রাজিলীয় কোচের ব্যাখ্যা, ‘‘টাইব্রেকারে পঞ্চম শটের গুরুত্ব বেশি। ওকে পাঁচ নম্বর শটের জন্য রাখা হয়েছিল।’’