সাও পাওলো, ২৯ ডিসেম্বর : দেখতে দেখতে চোখের নিমেষে পেরিয়ে গিয়েছে একটা বছর। ফুটবল বিশ্বকে রিক্ত করে, শূন্যতায় ভাসিয়ে গত বছর ২৯ ডিসেম্বর অমৃতলোকে যাত্রা করেছেন পেলে। ৮২ বছর বয়সে জীবনের মাঠ ছেড়েছেন। কিন্তু কিংবদন্তিদের যে মৃত্যু হয় না। ফুটবল সম্রাটের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁকে স্মরণ করলেন অগণিত অনুরাগী, আসলে পুরো ফুটবল-বিশ্বই।
আরও পড়ুন-ফের বক্সার জঙ্গলে দেখা মিলল বাঘের
শুধু ব্রাজিলেই নয়, লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশেই এদিন স্মরণ করা হয় পেলেকে। স্যান্টোসের একুমেনিক্যাল মেমোরিয়াল সিমেট্রিতে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন তিনবারের বিশ্বকাপজয়ী ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার। ১৪ তলার সমাধিক্ষেত্রে পেলেকে সমাধিস্থ করার পর ভক্তরা শুরুর দিকে তাঁদের নায়ককে দেখতে পাননি। কিন্তু মৃত্যুর প্রায় ৫ মাস পর সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় পেলের সমাধি। শুক্রবার সম্রাটের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁকে স্মরণ করতে ভক্তদের ভিড় উপচে পড়েছিল। ফুটবল পর্যটকদের জন্য পেলের সমাধি এক আশ্চর্য পৃথিবী, বলছেন ভক্তরা। সমাধিক্ষেত্র খুলে দেওয়ার পর প্রথম দর্শনার্থী ছিলেন রুশো রডরিগেজ নামের এক ব্যবসায়ী। মুগ্ধ সেই অনুরাগী বলছিলেন, ‘‘আমার প্রত্যাশাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। অসাধারণ একটি জায়গা। আমার মনে হয়, এটি ব্রাজিলের একটি পর্যটনকেন্দ্র হয়ে উঠেছে। আগামী প্রজন্ম এখানে এসে জানবে পেলের গল্প।’’
আরও পড়ুন-দৃষ্টান্ত বীরভূম জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতির বৈঠক, উন্নয়নের প্রশ্নে শাসক-বিরোধী একজোট
১৪ তলা সমাধিক্ষেত্রের প্রথম তলায় সমাহিত করা হয়েছে পেলেকে। প্রায় ২০০ বর্গমিটার একটি কক্ষের মাঝখানে রাখা হয়েছে সোনায় মোড়া ফুটবল সম্রাটের কফিন। তার চার পাশে খোদাই করা আছে সম্রাটের কেরিয়ারের নানা মুহূর্ত। কক্ষটিতে প্রবেশের সময় প্রধান দরজায় দর্শনার্থীদের স্বাগত জানায় পেলের দু’টি সোনালি রঙের মূর্তি। মাঠের আদলে সবুজ গালিচায় আবৃত কক্ষের চার দিকে দর্শকদের উচ্ছ্বাসের ছবি। যা দেখে মনে হবে, মৃত্যুর পরেও মাঠের মধ্যে দর্শকদের অভিবাদন পাচ্ছেন ‘ফুটবলের কালোমানিক’।