প্রতিবেদন : এখানে অন্যায় করলে তাঁকে আইনের হাতে তুলে দেওয়া হয়। দলের লোক হলেও আইন মেনে তাঁর শাস্তি হয়। রাষ্ট্রীয় মদতে কাউকে এনকাউন্টার করে মারা হয় না। কেউ আইন হাতে তুলে নেয় না। মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় না। তাই বাংলা উত্তরপ্রদেশ বা গুজরাত হোক বাংলার মানুষ তা চায় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এখানে উন্নয়নযজ্ঞ চলছে। বাংলাকে এনকাউন্টার স্পেশালিস্ট রাজ্য বানানো যাবে না। এই ভাষাতেই রবিবার বীরভূম থেকে উত্তরপ্রদেশের ডবল ইঞ্জিন সরকারকে আক্রমণ করলেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। সিউড়ির ইরিগেশন কলোনির মাঠের সভা থেকে অমিত শাহর তোলা অভিযোগের কড়া জবাব দেন ফিরহাদ। অনুপ্রবেশ নিয়ে বলেন (Firhad Hakim), বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে কেউ ঢোকে না। যাঁরা এখানে থাকেন, তাঁরা সবাই ভারতীয়। তাঁরা ঘুষপেটিয়া নয়। যদি ঘুষপেটিয়ার অভিযোগ তোলেন, তার দায়িত্ব আপনার। কারণ আপনার বিএসএফই সীমান্তে রয়েছে। চড়া রোদ উপেক্ষা করে দলে দলে মানুষ সভায় এসেছিলেন। ফিরহাদ বলেন, অমিতজি বলছেন, রামনবমী করার জন্য বিজেপিকে আনুন। আমি বলি, রামভক্তরা রাজ্যে তেরোশো মিছিল করেছে। কোনও অশান্তি হয়নি। কিন্তু গুজরাতের ভদরা, মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদ, বিহারের সাসারাম, দিল্লির জাহাঙ্গীর নগরে কেন দাঙ্গা হল, জবাব দিন। হাওড়ার দু’জায়গায় সংঘের উসকানিতে ঝামেলা বাধানোর চেষ্টা হয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক দক্ষতায় তা রুখে দিয়েছেন। দিল্লিতে ৫২ জন দাঙ্গার বলি হল, কে দেবে জবাব? গরুপাচারের নামে আমাদের নেতাদের ধরা হচ্ছে। গরু কোথা থেকে পাচার হয়? উত্তরপ্রদেশ থেকে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগীজি। গরু যায় বাংলাদেশে। বর্ডার পাহারা দেয় অমিত শাহর বিএসএফ। আপনারা টাকা নেবেন, আর তৃণমূলকে দোষ দেবেন, চলবে না। একুশের বিধানসভার আগে বলেছিলেন, আগলি বার, দোশো পার। উল্টে নিজেরাই এখন পগার পার। রাজ্যে ৩৫টি আসনের স্বপ্ন দেখছেন। আমরা বলছি, পঁয়ত্রিশ, তোমরা ফিনিশ। শেষে বিজেপিকে তাঁর হুঁশিয়ারি, দিল্লি, ওড়িশায় তোমরা নেই। মহারাষ্ট্র, গোয়াতে ব্যাকডোর দিয়ে ঢুকেছ। ভেবেছিলে, সেভাবে বাংলায় ম্যানেজ হবে। কিন্তু বাংলার মানুষ তোমাদের পগার পার করে দেখিয়েছে। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, চন্দ্রনাথ সিনহা, বিকাশ রায়চৌধুরী, অভিজিৎ সিনহা-সহ জেলার বিধায়ক ও দুই সাংসদ শতাব্দী রায় এবং অসিত মাল।
আরও পড়ুন-এই বছরেই শেষ হবে বৌবাজারের কাজ, কবে পাওয়া যাবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো পরিষেবা