গণতন্ত্র! ত্রিপুরাবাসী বিচার করবেন: বাধা পেরিয়ে ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজো অভিষেকের

Must read

ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিয়ে কর্মসূচি শুরু করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে দফায় দফায় তাঁকে বাধা দেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। তাঁর গাড়িতে বাঁশ দিয়ে আক্রমণ করেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা।

আরও পড়ুন-ত্রিপুরায় গিয়ে ‘আক্রান্ত’ অভিষেক, গাড়িতে হামলার ভিডিও নিজেই পোস্ট করলেন টুইটারে

এরপর ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পৌঁছে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ত্রিপুরার মানুষ এর বিচার করবেন। দিল্লির বিজেপি নেতারা বাংলায় গিয়ে বলেন, ‘গণতন্ত্র বাঁচাও’। এদিকে ত্রিপুরার গণতন্ত্রের নমুনা দেখুন আগে। কিছুদিন আগেই এই রাজ্য থেকে ঢাকঢোল পিটিয়ে বলা হয়েছিল, ‘অতিথি দেব ভব’। এই তার নমুনা!”

স্কুল বন্ধ থাকা সত্বেও কিছু স্কুলপড়ুয়ারা জাতীয় সড়কে বসে অবস্থান করছিল। অভিষেক তাদের সঙ্গে কথা বলে কয়েক মুহূর্তে সেই অবস্থান তুলে দেন। এ প্রসঙ্গে তিনি নিজে জানান, সেখানে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি ছিলেন। অভিষেকের অভিযোগ, পরিকল্পনা করে পড়ুয়াদের দিয়ে রাস্তায় বাধা সৃষ্টি করেছে বিজেপি। তবে এসব করে যে তৃণমূলকে ঠেকানো যাবে না তা স্পষ্ট বুঝিয়ে দেন অভিষেক। মন্ত্রোচারণ করে ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর পাশাপাশি শিব মন্দিরে পুজো দেন তিনি।

আরও পড়ুন-ত্রিপুরায় অভিষেক ম্যাজিক: ব্যর্থ পুলিশ, অভিষেকের কথায় অবরোধ তুলল পড়ুয়ারা

সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দিতে সকালে আগরতলা গিয়েছে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক ও তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন INTTUC-র রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির ও তার সঙ্গে ছিলেন মলয় ঘটক, ব্রাত্য বসু। বিকেল চারটে সময় সাংবাদিক বৈঠক করবেন অভিষেক। উল্লেখ্য, ২০২৩-এ ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে সংগঠন মজবুত করতে তৎপর তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই সেখানে “খেলা হবে” স্লোগান ছড়িয়ে পড়ছে। ত্রিপুরার আট জেলায় তৃণমূলের সংগঠন মজবুত করে তোলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দেবাংশু ভট্টাচার্য, জয়া দত্ত, সুদীপ রাহাকে।

 

Latest article