সংবাদদাতা, ডায়মন্ড হারবার : আসন্ন দুর্যোগ মোকাবিলায় জোর কদমে প্রস্তুতি শুরু করে দিল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। শুক্রবার বেলায় মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী ভার্চুয়াল মাধ্যমে জেলাশাসক সুমিত গুপ্তার সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই বৈঠক থেকে জেলার সুন্দরবন এলাকায় বিশেষ ব্যবস্থাগ্রহণের নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব।
আরও পড়ুন-আগামী বছর ১২ দিন পুজোর ছুটি
এছাড়া সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা এদিন সাগর বিডিও অফিসে বিপর্যয় মোকাবিলা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন। উপস্থিত ছিলেন বিডিও সুদীপ্ত মণ্ডল সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকরা। সুন্দরবনের দ্বীপাঞ্চল মৌসুনি, ঘোড়ামারা, সীতারামপুর, গোসাবার একাধিক এলাকা সহ উপকূলের বাসিন্দাদের নিরাপদস্থানে তুলে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এজন্য বিভিন্ন ফ্লাড শেল্টার, স্কুলগুলিতে তৈরী রাখতে বলা হয়েছে। আগামী রবিবার বিকেলের পর থেকে সুন্দরবনের ফেরিসার্ভিস চালানো হবে কি না তা স্থানীয় প্রশাসনকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে সোম ও মঙ্গলবার গঙ্গাসাগর ও কাকদ্বীপের মধ্যে সংযোগকারী ভেসেল পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ থাকবে বলে এদিন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাগর ব্লকের প্রসূতি মায়েদের প্রসবের জন্য ওই দিনগুলিতে সাগর ব্লক হাসপাতালে সর্বক্ষণ চিকিৎসক হাজির থাকবেন।
আরও পড়ুন-কালীপুজোয় বাজার বাড়ছে বিকল্প প্লাস্টিকের জবার মালার
সুন্দরবনের বেহাল বাঁধের ওপর নজর রাখার জন্য সেচ দপ্তরের আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলার সিভিল ডিফেন্সের টিমের পাশাপাশি জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের চারটি দল এই জেলার কাকদ্বীপ, কুলতলি, গোসাবা ও ডায়মন্ড হারবারে হাজির থাকবে। এদিনও ব্লক প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে মৎস্যজীবীদের সতর্ক করে মাইকিং করা হয় সাগর, ফ্রেজারঞ্জ, কাকদ্বীপ, পাথরপ্রতিমা, বাসন্তী, কুলতলিতে। সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা বলেন, ‘মুখ্যসচিবের পাঠানো নির্দেশিকা থেকে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। উপকূলের বাসিন্দাদের নিরাপদস্থানে তুলে আনা হবে। সেচ, পঞ্চায়েত, জনস্বাস্থ্য কারিগরী দপ্তরের আধিকারিকারিক ও কর্মীদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।’