সংবাদদাতা, হাওড়া : উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে রাজ্যের মানুষকে আরও বেশি করে শামিল করতে হবে। দলমত নির্বিশেষে মানুষের মতামত ও পরামর্শ নিয়েই উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলিকে রূপায়িত করতে হবে। সোমবার বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরের উদ্যোগে আয়োজিত এক কর্মশালায় এই সুরই বেঁধে দিলেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। উপস্থিত ছিলেন কৃষি বিপণন দফতর ও পঞ্চায়েত দফতরের প্রতিমন্ত্রী বেচারাম মন্না ও পঞ্চায়েত দফতরেরই আর এক প্রতিমন্ত্রী শিউলি সাহা, দফতরের সচিব পি উলগানাথন সহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন-ট্যাংরায় বিধ্বংসী আগুন
এদিনের রাজ্যস্তরের এই কর্মশালায় ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে পঞ্চায়েতস্তরে কীভাবে উন্নয়নের কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে তার রূপরেখা তৈরি হয়। ঠিক হয় আগামী ২৫ জানুয়ারির মধ্যে রাজ্যের সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি জেলা পরিষদগুলিকে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের জন্য পরিকল্পনা তৈরির কাজ শেষ করতে হবে। সেইসঙ্গে তা এ-গ্রাম পোর্টালে আপলোড করতে হবে। যত বেশি সম্ভব গ্রামবাসীকে এই উন্নয়নমূলক কাজের পরিকল্পনা তৈরিতে শামিল করতে হবে। প্রতিটি পঞ্চায়েতস্তরে পাড়ায় পাড়ায় গ্রামসভার বৈঠকের মাধ্যমে স্থায়ী উন্নয়নের লক্ষ্য স্থির করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন-কেন্দ্রের বিরুদ্ধে পদযাত্রা চলবে
এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ১৭টি উন্নয়নের লক্ষ্যকে ৯টি থিমে ভাগ করে পরিকল্পনা তৈরি করতে বলা হয়েছে। এই ৯টি থিম হল ১) দারিদ্রমুক্ত ও উন্নততর জীবিকার সুযোগসম্পন্ন গ্রাম ২) সুস্বাস্থ্যসম্পন্ন গ্রাম ৩) শিশু-বান্ধব গ্রাম ৪) নির্মল ও সবুজ গ্রাম ৫) পর্যাপ্ত জলসম্পন্ন গ্রাম ৬) স্বয়ংসম্পূর্ণ পরিকাঠামোযুক্ত গ্রাম ৭) সামাজিকভাবে সুরক্ষিত গ্রাম ৮) সুশাসনসম্পন্ন গ্রাম ও ৯) নারী-বান্ধব গ্রাম। এই ৯টি থিমের ওপর ভিত্তি করে ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে পঞ্চায়েত এলাকায় উন্নয়নের পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। এদিনের বৈঠকে তারই রূপরেখা তৈরি হয়। আগামিদিনে ব্লকস্তরেও পঞ্চায়েতের আধিকারিক ও প্রতিনিধিদের নিয়ে এই ধরনের কর্মশালা হবে। পঞ্চায়েত দফতরের প্রতিমন্ত্রী বেচারাম মান্না জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্য জুড়ে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ চলছে। ১০ বছরে গ্রাম বাংলার ছবি বদলেছে। উন্নয়নে মানুষকে আরও বেশি শামিল করা হবে।