জমজমাট গ্যালিফ স্ট্রিটের রবিবাসরীয় পোষ্যের হাট। বলা হয় এটাই এশিয়ার একমাত্র বৈধ পোষ্যের হাট। আজ রবিবার এখানে আয়োজিত হল রক্তদান শিবিরের (Blood Donation Camp)। উদ্যোক্তা বাগবাজার বাগবাজার শখের হাট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি। প্রধান অতিথি হিসেবে এদিন এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস (Arup Biswas), তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh), কাউন্সিলর অয়ন চক্রবর্তী (Ayan Chakraborty), সমিতির সেক্রেটারি অভিজিৎ রায়-সহ অন্যান্যরা। উত্তর কলকাতার (Kolkata) এত বড় পোষ্যের হাট দক্ষিণেও হোক- চাইছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। আর সেই কারণেই তিনি চান এই শীতকালেই এই ধরনের পোষ্যের হাট শুরু হোক দক্ষিণ কলকাতাতে। মন্ত্রীর এই প্রস্তাব আনন্দে গ্রহণ করেছে ব্যবসায়ী সমিতি। একইসঙ্গে পশু রাখুন এই প্রচার ও চালানো হয়।
আরও পড়ুন-নয় মিনিটেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হল টুইন টাওয়ার
রক্তদান শিবির উপলক্ষ্যে এদিন বহু মানুষ রক্ত দেন অনেকে। রক্তদান শিবিরের উদ্বোধনের পর অরূপ বিশ্বাস, কুণাল ঘোষরা পুরো পোষ্যের হাট ঘুরে দেখেন। দুজনেই পশুপ্রেমী। সে কারণে এই হাটে তাঁরা বেশ কিছুক্ষণ ছিলেন। উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে মন্ত্রীকে একজোড়া লাভ বার্ড ও একটি গাছ- লাকি ব্যাম্বু উপহার দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন-তৃণমূল কংগ্রেস ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভেচ্ছাবার্তা
গ্যালিফ স্ট্রিটের পোষ্যের হাট বহু পুরনো। এখানে যেমন রঙিন মাছ পাওয়া যায়, তেমনি রয়েছে তার সরঞ্জাম। অ্যাকোরিয়াম থেকে শুরু করে মাছের খাবার, আলো, ফিল্টার সব রয়েছে পাশাপাশি। যেমন বিদেশি পাখি (Bird) রয়েছে এখানে, তেমনি রয়েছে বহু ধরনের পায়রা। বিভিন্ন প্রজাতির কুকুর (Dog) ছানা রয়েছে। খরগোশ হয়েছে নানা রঙের। আর এগুলো সবই বৈধভাবেই কেনাবেচা হয়। পশু কিনতে গিয়ে তার আনুষঙ্গিক জিনিসও পাওয়া যায় এখানে। বহু প্রজাতির কুকুর ছানা মেলে এই হাটে। রয়েছে নানা ধরনের ইনডোর-আউটডোর প্লান্ট, ফুল বা ফলগাছের চারা। এক কথায় উত্তর কলকাতার গর্বের মুকুটে একটি উজ্জ্বল পালক এই পোষ্যের হাট।
আরও পড়ুন-তৃণমূল কংগ্রেস ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা
এই ধরনের হাট দক্ষিণ কলকাতাতেও হোক- চাইছেন অরূপ বিশ্বাস। সেই কারণেই এই শীতেই তা শুরু করতে চান তিনি। যাদবপুর থেকে টালিগঞ্জের মধ্যে বড় জায়গা দেবেন তিনি। আগামী দিনে প্রতি মাসে অন্তত একবার করে দক্ষিণ কলকাতায় এই ধরনের হাট করার পরিকল্পনা রয়েছে। একইসঙ্গে তাঁরা চান পোষ্য রাখুন সবাই। এর মত সঙ্গী পাওয়া দুষ্কর। একাকীত্ব ঘুচিয়ে মন ভালো করার ‘টনিক’ এইসব পোষ্য বা গাছেরা।