নয় মিনিটেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হল টুইন টাওয়ার

২০১৪ সালে হাউজিং সোসাইটির পক্ষে রায় দেয় হাই কোর্ট। টুইন টাওয়ার ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন বিচারপতিরা। যদি সেই রায় বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্টও

Must read

মাত্র নয় মিনিটেই গুঁড়িয়ে দেওয়া হল নয়ডার টুইন টাওয়ার। রবিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ একটি মাত্র বোতাম টিপে ধ্বংস করা হল এই বেআইনি নির্মাণ। মাত্র ৯ সেকেন্ডে তাসের ঘরের মতো মাটিতে ভেঙে পড়ল গগনচুম্বী এই বিরাট অট্টালিকা। কুতুব মিনারের থেকেও উঁচু এই নির্মাণ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ৩ হাজার ৭০০ কেজি বিস্ফোরকের সাহায্যে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন-তৃণমূল কংগ্রেস ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভেচ্ছাবার্তা

১০ বছর ধরে তৈরি করা হয় এই যমজ অট্টালিকা। ৮ বছর ধরে চলে এই নিয়ে আইনি জটিলতা। নিমেষে মাটিতে নেমে এল ১০০ মিটার উচ্চতার অ্যাপেক্স ও ৯৭ মিটার উঁচু সিয়ানে নামের দুটি টাওয়ার। ধুলোর ঝড়ে নিমেষে ঢেকে গেল গোটা এলাকা। যদিও খুব দ্রুত শুরু হয়েছে ধ্বংস পরবর্তী কাজ। ৮০০০ টন ধ্বংসাবশেষ সরাতে সময় লাগবে তিন মাস।

আরও পড়ুন-তৃণমূল কংগ্রেস ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা

জানা গিয়েছে দু’টি টাওয়ারের মধ্যে ১৬ মিটার দূরত্ব থাকার কথা ছিল, কিন্তু নির্মাণ সংস্থা দূরত্ব রাখে মাত্র ৯ মিটার। সুপারটেক এমারেল্ড কোর্ট হাউজিং সোসাইটি ১৪ তলা অট্টালিকার অনুমোদন দেয়।নির্মাণ সংস্থা সেই কথা মানেনি। তারা দাবি করে, তাদের কাছে ৪০ তলা টাওয়ারের অনুমোদন রয়েছে। সেই বক্তব্য মানতে চায়নি হাউজিং সোসাইটি। ২০১২ সালে এলাহাবাদ হাই কোর্টে মামলা করে এমারেল্ড কোর্ট হাউজিং সোসাইটি। ২০১৪ সালে হাউজিং সোসাইটির পক্ষে রায় দেয় হাই কোর্ট। টুইন টাওয়ার ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন বিচারপতিরা। যদি সেই রায় বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্টও।

Latest article