প্রতিবেদন : শুক্রবার মধ্যরাতে বর্ষবরণের মুহূর্তে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে গেল জম্মু-কাশ্মীরের বিখ্যাত বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে। মন্দির দর্শনে আসা পুণ্যার্থীদের লাগামছাড়া ভিড়ে পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ হারালেন ১২ জন। আহত ২০। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা। এমনিতেই নতুন বছরের প্রথম দিনে বৈষ্ণোদেবীর মন্দিরে পুজো দিতে প্রচুর মানুষ ভিড় করেন। সেখানেই পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনাটি ঘটেছে। আহতদের দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আরও পড়ুন-২৩ রাজ্যে ওমিক্রন, চিঠি স্বাস্থ্যসচিবের
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে শনিবার সকালে মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একইসঙ্গে মৃতদের পরিবারকে এককালীন ২ লক্ষ এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে সাহায্য দেওয়ার কথা জানিয়েছে কেন্দ্র। জম্মু-কাশ্মীর সরকার মৃতদের পরিবার-পিছু ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। আহতদের দেওয়া হবে ২ লক্ষ টাকা। কীভাবে এত বড় একটি দুর্ঘটনা ঘটে গেল তা জানতে ইতিমধ্যেই উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন।
জম্মুর লেফট্যানেন্ট গভর্নর মনোজ সিনহা জানান, সতর্কতা সত্ত্বেও এই ঘটনা কীভাবে ঘটল খতিয়ে দেখা হবে। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিজি দিলবাগ সিং জানিয়েছেন, শুক্রবার রাত ২টো ৪৫ মিনিট নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনা নিয়ে প্রাথমিক তদন্তের পর ডিজি জানিয়েছেন, কোনও একটি বিষয়ে মন্দির-চত্বরে দুই দল পুণ্যার্থীর মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। সে-সময়ে তাঁরা একে অপরের দিকে তেড়ে গেলে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনাটি ঘটে। যদিও পুলিশের এই অতি-সরলীকৃত ব্যাখ্যার পর নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন-বেঙ্গল সাফারিতে হেঁটেই দেখা মিলবে চিতাবাঘের
ক্ষতিগ্রস্ত পুণ্যার্থীদের পরিচয় সম্পর্কে ব্লক মেডিক্যাল অফিসার গোপাল দত্ত জানিয়েছেন, মৃত ১২ জনের মধ্যে ৮ জনকে শনাক্ত করা গিয়েছে। এই ৮ জন হলেন— ধীরাজ কুমার, শ্বেতা সিং, বিনয় কুমার, সোনু পান্ডে, মমতা, ধরমবীর সিং, বিনীত কুমার এবং অরুণপ্রতাপ সিং। মৃতেরা দিল্লি, হরিয়ানা, পাঞ্জাব এবং জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দা। রাজ্য প্রশাসনের তরফে আহতদের চিকিৎসায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কয়েকজনের অবস্থা বেশ গুরুতর।