ঝাড়গ্রামে পৌঁছে বিশ্ব আদিবাসী উৎসবে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানে মমতা বলেন, “ঝাড়গ্রাম সব আসনে তৃণমূলকে জিতিয়ে, আমাদের তৃতীয়বারের জন্য সরকার গঠন করতে সাহায্য করেছে”। কিন্তু সেখানেও মুখ্যমন্ত্রী বললেন, “আমরা ধর্মে-ধর্মে, মানুষে-মানুষে ভাগ করি না। সবাই একসঙ্গে কাজ করি। আপনাদের কিছু অসুবিধা হলে আমাকে বলবেন, আমি দেখে নেব। কিন্তু আমাকে দয়া করে ভুল বুঝবেন না।”
আরও পড়ুন-ধামসা বাজিয়ে, আদিবাসী নৃত্যে পা মিলিয়ে, ঝাড়গ্রামের অনুষ্ঠানে অন্য রূপে মুখ্যমন্ত্রী
তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর আজ প্রথমবার ঝাড়গ্রাম সফরে গিয়ে আদিবাসী উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার, হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়াম থেকে কপ্টারে রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে ৯৫ শতাংশ মানুষ বিভিন্ন পরিষেবা পেয়েছেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মমতা বলেন, “মাওবাদী হানায় মৃতদের পরিবারকে চাকরি দিয়েছি।” তিনি আরও বলেন, “ঝাড়গ্রামে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরি করেছি। ঝাড়গ্রামে স্পোর্টস কমপ্লেক্স তৈরি হয়েছে। ৩ কোটি মানুষ দুয়ারে সরকারের দ্বারস্থ হয়েছেন, বেশিরভাগই পরিষেবা পেয়েছেন। ঝাড়গ্রামে চারটি নতুন কলেজ তৈরি হচ্ছে। সাধুরাম চাঁদ বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হচ্ছে”।
তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের আমলেই আদিবাসীদের জমি হস্তান্তর করা যাবে না, এই আইন করা হয়। মমতা দাবি তোলেন, সারা দেশেও এই আইন চালু করা হোক। অলচিকি হরফে পড়ানোর জন্য ৫০০ টি স্কুল তৈরি হচ্ছে। দুয়ারে সরকার বছরে দু’বার হবে। দু-এক মাসেই দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালু হয়ে যাবে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধে মিলবে পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে।
আরও পড়ুন-সংসদে আদিবাসী উন্নয়ন নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হলেন অভিষেক
ঝাড়গ্রামে যাওয়ার সময় আকাশপথে হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানান, “আবহাওয়া ঠিক থাকলে আগামিকাল আমি ঘাটাল যাব, পরিদর্শনের পরে কলকাতা ফিরব”