জলন্ধর : দেশ জুড়ে প্রবল বিরোধিতার আবহে চিত্রনাট্য তৈরি করার আপ্রাণ চেষ্টা করলেন দেশের ‘নাটুকে প্রধানমন্ত্রী’ (PM Narendra Modi)। কিন্তু চেষ্টা করেও পরীক্ষায় পাশ করতে পারলেন না। ধরা পড়ে যেতেই মিথ্যার ঝুড়ি নিয়ে স্মৃতি ইরানি-সহ নেতাদের মাঠে নামালেন। গোয়েবেলসিও কায়দায় মিথ্যা কথা বললেন, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাঁকে ‘খুনের চক্রান্ত’র অভিযোগ পর্যন্ত তুলে দেওয়া হল। কিন্তু নাটক জমল না। আর দেশের প্রধানমন্ত্রীর দশা দেখে সকলে এখন সশব্দে হাসছেন।
বুধবার প্রধানমন্ত্রীর (PM Narendra Modi) ফিরোজপুরের একটি জনসভায় ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল। হেলিকপ্টারে করেই সভাস্থলে যাওয়ার কথা। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে প্রধানমন্ত্রী সড়কপথে যাচ্ছিলেন। যাওয়ার পথে হঠাৎই একটি ব্রিজের মাথায় এসে প্রধানমন্ত্রীর কনভয় দাঁড়িয়ে যায়। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা বলেন, ওই ব্রিজ থেকে ৩০ কিমি দূরে কৃষকদের অবরোধ চলছে। সেই কারণে তাঁরা দাঁড়িয়ে রয়েছেন। পাঞ্জাব পুলিশের দায়িত্ব তাদের সরানো। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে ছেলেখেলা হয়েছে। এমন ঘটনা নাকি বিরল! পাঞ্জাব পুলিশ পাল্টা জানিয়েছে, প্রয়োজনে সেই পথে না গেলেই সমস্যা মিটে যায়। আর তার জন্য ৩০ কিমি দূরে দাঁড়িয়ে থাকারও কোনও দরকার ছিল না। পাঞ্জাব মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ চান্নি স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় কোনও ত্রুটি ছিল না। শেষমুহূর্তে হেলিকপ্টারের পরিবর্তে সড়কপথে যাচ্ছিলেন। আমি প্রধামন্ত্রীর সমাবেশেই ব্যস্ত ছিলাম। এরপরই সংবাদমাধ্যমের সামনে বোমা বিস্ফোরণের ভঙ্গিতে পাঞ্জাব মুখ্যমন্ত্রী কিছু ছবি এবং ভিডিও ফুটেজ তুলে ধরে বলেন, আসলে সভায় চেয়ার ছিল ৭০ হাজার আর লোকসংখ্যা ৭০০-র কম। লোক হবে না বুঝেই সভা বাতিল করেন।
আরও পড়ুন-যন্ত্রণাবিদ্ধ মুজিবরের চোখেমুখে সেদিন দেখেছিলাম আতঙ্ক
পাঞ্জাব মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার পরই বিরোধীদের বোমাবর্ষণে বিজেপি মুখ লুকানোর জায়গা পাচ্ছে না। পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে, ৩০ কিমি দূরে ধরনা নয়, আসলে ‘ফ্লপ সভা’ এড়াতেই মোদি ব্রিজের উপর দাঁড়িয়ে বছরের ফ্লপ নাটকটি সাজিয়েছিলেন। কিন্তু আসল চিত্র মানুষ দেখেছেন। বিজেপি বুঝেছে মোদি-ম্যাজিক ভ্যানিশ।