নদী ভাঙন রুখতে এবার এগিয়ে এল পুলিশ

Must read

মালদহ: ব্রাহ্মণী নদীর ভাঙন রুখতে তৎপর হল পুলিশ। জীবন ও জীবিকা রক্ষায় গ্রামবাসীদের যেন কোনরকম সঙ্কট না হয়, তার জন্যই বামনগোলা থানার পুলিশ বালির বস্তা ফেলে অস্থায়ীভাবে ভাঙন প্রতিরোধের কাজ শুরু করেছে । স্থানীয়দের সঙ্গে এই কাজে এবার হাত লাগিয়েছেন থানার কিছু অফিসার ও কর্মী।

আরও পড়ুন- একশো দিনের কাজের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে বিজেপির প্রাক্তন প্রধান ধৃত

বামনগোলা ব্লকটি হবিবপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকার সাংসদ খগেন মূর্মু এবং বিধায়ক জোয়েন মূর্মূকে বারবার সমস্যার কথা জানালেও তাঁরা এলাকায় আসেননি। কোনওরকম সাহায্যও করেননি তাঁরা। জোয়েন মূমূর্ সাফাই, ‘আমি ওখানে নিয়মিত যাই, কিন্তু ভাঙনের বিষয়ে শুনিনি।’ বরং তিনি ভাঙন রুখতে রাজ্যকেই কাঠগড়ায় তুলতে চাইছেন।

প্রশসঙ্গত, নদী ভাঙন রুখতে কেন্দ্রীয় সরকারই আর্থিক সহায়তা দেয়। অভিযোগ, এজন্য পর্যপ্ত টাকা কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে দিচ্ছে না। এরপরও স্থানীয় সাংসদও চুপ করে রয়েছেন। সবমিলিয়ে হবিবপুরের দুর্গতদের মধ্যে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ। ভাঙন ঠেকাতে উদ্যোগ নিয়েছে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ। উল্লেখ্য, বামনগোলা ব্লকের নালাগোলা মন্দিরপাড়া ঘেঁষেই বইছে ব্রাহ্মণী নদী। এই নদীর গত বছর থেকে পাড় ভাঙছে। বর্ষায় ভাঙনের চেহারা ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। ইতিমধ্যে নদী গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে বেশ কিছু বাড়ি। কিছু বাড়ির অর্ধেক অংশ এখন নদীতে। এবারও শুরু হয়েছে ব্রাহ্মণীর ভাঙন। আশঙ্কায় দিন কাটছে বাসিন্দাদের।

আরও পড়ুন- বিজেপিপ্রণোদিত মিথ্যে মামলা দায়ের করেছে ত্রিপুরা পুলিশ: তোপ দাগলেন কুণাল

বামনগোলা থানার আইসি জয়দীপ চক্রবর্তীর নির্দেশে ভাঙন রুখতে কাজ করছেন পুলিশকর্মীরা। বালির বস্তা ফেলে অস্থায়ীভাবে ভাঙন রোধের কাজ চলছে। স্থানীয় বাসিন্দা পিন্টু রায়, সহদেব মন্ডল, মিনতি রায় বলেন, ব্রাহ্মণীর ভাঙনের বিষয়টি নিয়ে আমরা বামনগোলা থানার আইসিকে জানিয়ে ছিলাম। তারপরেই তিনি ভাঙন রুখতে এই উদ্যোগ নিয়েছেন।

Latest article