চোর নয়, পাখি ধরতে বাসা বেঁধে দিল পুলিশ

Must read

সংবাদদাতা, কাটোয়া: ওই পাখিটার নাম বুঝি খঞ্জনা? না-না, ও তো বউ কথা কও! আমাদের খুব চেনা। এমনই সব চেনা-অচেনা পাখির কিচিরমিচিরে মুখর নাদনঘাট থানাচত্বর। চত্বরে রয়েছে এক বিশাল ছায়াময় বটগাছ।

আরও পড়ুন : প্রয়াত বিশিষ্ট ফুটবলার চিন্ময় চ্যাটার্জি, শোকবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

তার ডালে ডালে পাখিদের বিচরণ। কত না রূপ, কত স্বর-সুর, কত না খুনসুটি। কাজের ফাঁকে তাই দেখেই সময় বয়ে যায় পুলিশ কর্মীদের। শুধু তাই? নানা দরকারে থানায় আসা লোকজনও পাখিদের কলতানে থমকে দাঁড়ান। সবুজ পাতার আড়ালে বর্ণময় পাখিদের দেখে নয়ন সার্থক করেন।
এইসব পাখিরা যদি আর না আসে? আচমকা বটগাছ ছেড়ে অন্য কোথাও, অন্য কোনওখানে দেয় উড়ান? অফিসে বসে এমনই দুশ্চিন্তা জাগে এই ক’দিনেই নানা কিসিমের পাখির প্রেমে পড়া নাদনঘাটের ওসি সুদীপ্ত মুখোপাধ্যায়ের মনে। তা থেকেই শুরু করেন কাজ।

আরও পড়ুন : সাফল্যের পালক কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝুলিতে, টুইট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

এলাকার পাখিপ্রেমী মানুষজনের সঙ্গে কথা বলে বের করেন সমাধানসূত্র। সহকর্মীদের নিয়ে সুদীপ্তবাবু বটের শাখায় ঝুলিয়ে দেন কৃত্রিম বাসা, পাখিদের নীড়। তাতে রোজ নিয়ম করে দেওয়া হয় দানাপানি। ফলও মিলেছে হাতেনাতে। সূর্য পাটে ওঠার আয়োজন করতেই ঝাঁকে ঝাঁকে পাখিরা থানার বটগাছের বাসায় বাসায় ডেরা বাঁধছে। মদনমোহন তর্কালঙ্কারের ‘পাখিসব করে রব, রাতি পোহাইল’ এখানে সার্থক। সুদীপ্তবাবু বললেন, ‘৫০টি বাসা বাঁধা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও বাড়ানো হবে।’ আশা, এমন ‘রোটি-মকান’ আর নিরাপত্তা পেলে একদিন হয়ত পরিযায়ী পাখিরাও এখানে ঠাঁই নেবে।

 

তাতে আরও বর্ণময় হয়ে উঠবে মহিরুহ। পুলিশকর্মীরা শুধু চোরডাকাত নিয়েই থাকেন না, তাঁদের এক সবুজ সুন্দর মনও থাকে। তাই এই পাখিপ্রীতি তারিফ কুড়োচ্ছে বিধায়ক তথা মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষক দেবাশিস নাগ থেকে শুরু করে এলাকার পরিবেশপ্রেমীদের।

Latest article