প্রতিবেদন : মেঘালয় বিজেপির (Meghalaya BJP Leader) সহ-সভাপতির ফার্মহাউসে দীর্ঘদিন ধরে চলা একটি সেক্স র্যাকেট হাতেনাতে ধরল রাজ্য পুলিশ। পুলিশ ওই বিজেপি নেতার ফার্মহাউস থেকে ৬টি শিশুকে উদ্ধার করেছে। এঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৭৩ জনকে গ্রেফতার হয়েছে। এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, মেঘালয় বিজেপির সহ-সভাপতি তথা জঙ্গি থেকে রাজনীতিবিদ হওয়া বার্নার্ড এন মারাক ওরফে রিম্পু এই সেক্স র্যাকেট বা মধুচক্রটি চালাতেন। রিম্পু গার্ডেন নামের ওই ফার্মহাউসে একটি সেক্স র্যা কেট চলছে এমন অভিযোগ ওঠায় ২৪ জুলাই শনিবার পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। পশ্চিম গারো হিলস জেলার এসপি বিবেকানন্দ সিং সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, আমরা ৬ জন নাবালককে উদ্ধার করেছি। এর মধ্যে ৪ জন ছেলে এবং ২ জন মেয়ে। তাদের সবাইকে রিম্পু গার্ডেনের নোংরা ও দুর্গন্ধযুক্ত ঘরে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। বার্নার্ড ও তার সহযোগীদের সহায়তায় পতিতাবৃত্তির চালানোর জন্যই তাদের আটকে রাখা হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, অভিযানের সময় আমরা ২৭টি গাড়ি, ৮টি দুই চাকার গাড়ি, ৪০০টি মদের বোতল এবং ৫০০টি কনডম, ধনুক ও তীর উদ্ধার করেছি।
আরও পড়ুন: চোখ রাঙাচ্ছে মাঙ্কিপক্স, এবার তেলেঙ্গানায় মিলল উপসর্গ
পুলিশ জানিয়েছে, বিজেপি নেতার (Meghalaya BJP Leader) খামারবাড়িতে প্রায় ৩০টি ছোট ঘর ছিল। তুরা শহরের লোকজন জানান, রিম্পু গার্ডেনে চলছে অবৈধ কর্মকাণ্ড। এসব অভিযোগের ভিত্তিতেই অভিযান চালানো হয়। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযানের সময় অনেক যুবক-যুবতীকে মদ্যপ ও আপত্তিকর অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। তাদের মধ্যে ওই ৬৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ছাড়া ফার্মহাউসের ম্যানেজার, কেয়ারটেকার-সহ তিনজন কর্মীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির অধীনে অনৈতিক পাচার (প্রতিরোধ) আইন, ১৯৫৬-এর প্রাসঙ্গিক ধারায় একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ওই বিজেপি নেতাকে শিলং সদর থানায় আত্মসমর্পণ করতে বলা হলেও তিনি গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। অন্যদিকে, মারাক তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমাকে নিশানা করেছেন। তিনি বলেন কোনও পরোয়ানা ছাড়াই সাংমার নির্দেশেই পুলিশ এই অভিযান চালিয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাঁকে গ্রেফতার করতেই মুখ্যমন্ত্রী এই পদক্ষেপ করছেন। আগামী নির্বাচনে তুরা কেন্দ্রে হারতে চলেছেন জানতে পেরে হতাশ হয়ে পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এজন্য আমার ভাবমূর্তিতে কালি ছেটাতেই এই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ওই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে ২৫টিরও বেশি ফৌজদারি মামলা রয়েছে।