প্রতিবেদন : সরকারের সহমর্মিতা আছে। কিন্তু আইনি বাধায় তা সম্ভব নয়। তবুও আন্দোলনে অনড় ছিলেন ২০১৪-এর টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীরা। প্রশ্ন হল টেট উত্তীর্ণ হলেই তো চাকরি হয় না। পরীক্ষার পাশ করতে হয়। এই মুহূর্তে শিক্ষক পদে নিয়োগে সবটাই নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে আদালতের নির্দেশে। আদালতই সল্টলেকে অবস্থানরত আন্দোলনকারীদের সরাতে ১৪৪ ধারা প্রয়োগের নির্দেশ দিয়েছে। পুলিশ সেই নির্দেশ পালন করে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দিয়েছে। অনেককেই শুশ্রূষা দিয়েছে। আর শুক্রবার ভোর হতে তাঁদের বাড়ি ফেরাতে হাওড়া ও শিয়ালদহে পৌঁছে দিয়েছে। কিন্তু কতিপয় ব্যক্তি এসব নিয়ে উসকানির রাজনীতি করছেন। ট্যুইট করছেন। আর তাতে মদত দিতে নেমে পড়েছে বিরোধীরা। এরই পাল্টা বাংলার প্রথম সারির বুদ্ধিজীবীরা প্রতিবাদে সরব হয়েছেন।
আরও পড়ুন-দীপাবলি ও ধনতেরাস
অভিরূপ সরকার
টেট পরীক্ষা দিলেই চাকরি হয় না। আইনে এসব নেই। আন্দোলন না করে যদি তাঁরা ফের পরীক্ষা দিতেন তবে ভাল হত। আর যেখানে ১৪৪ ধারা জরি রয়েছে, সেখানে এইভাবে আন্দোলন হয় না। ১৪৪ ধারা জারি করে আদালত। সরকার করেনি। ভুল পথে লড়াই করছেন চাকরি প্রার্থীরা। এঁদের উসকে দিয়ে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে বিরোধীরা। তাদের ফাঁদেই পা দিয়েছেন তাঁরা। অনশন করে প্রেশার পলিটিক্স করছেন আন্দোলনকারীরা। কিন্তু পুলিশ অত্যন্ত সহনশীলতার সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দিয়েছে। মনে রাখবেন, ২০১৪-র চাকরিপ্রার্থীদের বিরোধিতা করছেন ২০১৭-র চাকরিপ্রার্থীরা। অর্থাৎ তাঁদের মধ্যেই স্ববিরোধিতা রয়েছে। আমি চাই শিক্ষকতার চাকরিতে যোগ্যতার সঙ্গে তাঁরা পরীক্ষা দিন। পাশ করুন। নিয়োগ নিয়ে যে দুর্নীতি রয়েছে তা আদালতের বিচারাধীন। আইনই শেষ কথা বলবে।
আরও পড়ুন-গয়নাকথা
শুভাপ্রসন্ন
এঁদের এই আন্দোলেন অযৌক্তিক এবং অহেতুক। যেখানে আদালতের নির্দেশে ১৪৪ ধারা জারি করেছে এবং তাঁদের সরে যেতে বলছে সেখানে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি উসকানির রাজনীতির করছে। অনেকেই ট্যুইট করছেন সাময়িক জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য। কিন্তু এঁরা জানেন না এইসব কয়েকদিনের জন্য। মানুষ এঁদের পাশে নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দয়াশীল, সচেতন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁরও আইনের কারণে হাত-পা বাঁধা। আন্দোলনকারীদের এসব বোঝা উচিত। অযৌক্তিক এবং অহেতুক আন্দোলন করে জনজীবনকে বিপর্যস্ত করার চেষ্টা চলছে। যা অনৈতিক এবং অনভিপ্রেত। আমি চাই আন্দোলনকারীদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের প্রতি সমব্যথী। আইনি বাধা রয়েছে নিয়োগে।