বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী আলিপুরদুয়ার: জয়ন্তী নদীর হড়পা বানে ভেসে গেল ভুটিয়া বস্তির অস্থায়ী ভোটগ্রহণ কেন্দ্র। প্রাণ বাঁচাতে গভীর রাতে ভোটকর্মীরা আশ্রয় নিলেন ভুটিয়া বস্তির এসএসবি ক্যাম্পে। ভুটান পাহাড়ের পাদদেশে, বক্সার জঙ্গলের মাঝে, জয়ন্তী নদীর ধারে রয়েছে ছবির মতো ছোট্ট একটি গ্রাম ভুটিয়া বস্তি। গণতন্ত্রের উৎসবে অন্যান্য সময়ের মতো এবারও সেই বস্তির বাসিন্দারা শামিল হয়েছেন ভোট উৎসবে। আলিপুরদুয়ার জেলার কুমারগ্রাম বিধানসভার দশের এক নম্বর বুথ এই ভুটিয়া বস্তিতেই অবস্থিত।
আরও পড়ুন-বিজেপির সন্ত্রাসের দাঁত-নখ বেরিয়ে এল
শুক্রবার বিকেল সাড়ে তিনটা নাগাদ ভোটকর্মীরা পৌঁছে যান ভুটিয়া বস্তির বিট অফিস সংলগ্ন অস্থায়ী ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে। সন্ধ্যার পর ভোটের সমস্ত সরঞ্জাম গুছিয়ে নিয়ে রাতে ওই অস্থায়ী ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন ভোটকর্মীরা। গভীর রাতে আচমকা হড়পা বান এসে জয়ন্তী নদীর জল পলি সমেত ঢুকে যায় ওই অস্থায়ী ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে। ভোটকর্মীরা সেই অসহায় অবস্থায় কুমারগ্রাম ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। দ্রুত ব্লক প্রশাসন স্থানীয় এসএসবি ক্যাম্পের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদেরকে সেখানে রাত কাটানোর ব্যবস্থা করে দেয়। তারপর দিনের আলো ফুটলে প্রশাসনের তরফ থেকে ট্রাক্টরে করে তাঁদের সহায়তার জন্য সেখানে পৌঁছন সরকারি আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন-বিজেপির মিথ্যাকে প্রকাশ্যে নিয়ে এলেন দেবাংশু
যেহেতু হড়পা বানে অস্থায়ী ভোটকেন্দ্রটি নষ্ট হয়ে যায়, তখন বিকল্প হিসেবে প্রশাসনের তরফ থেকে বস্তিতে অবস্থিত জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের একটি কক্ষে দ্রুত বিকল্প ভোটগ্রহণ কেন্দ্র তৈরি করা হয়। তারপর অবশ্য নির্বিঘ্নেই ভোট পর্ব মিটে যায়। ওই ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে শুধুমাত্র পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের ভোটগ্রহণ হয়েছে, কেননা ওই বুথের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছেন। বস্তির মোট ভোটারের সংখ্যা ৭০, নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানে ভোট পড়েছে আশি শতাংশ।