সরস্বতী দে, শিলিগুড়ি : ঝড়-বৃষ্টি-জলে কুঁড়েঘরে থাকা বাংলার মানুষের কষ্ট দূর করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুরু করেছেন বাংলা আবাস যোজনা। রাজ্য সরকারের নগর উন্নয়ন দফতরের পক্ষ থেকে শিলিগুড়ি পুরসভার ১ হাজার ৮২৪ জন আবেদনকারীর জন্য ৬০ কোটি ৭৩ লক্ষ ৯২ হাজার টাকা অনুমোদন করেছে। ২০১৮-১৯ সালে শিলিগুড়ি পুরসভায় এই প্রকল্পে ২ হাজার ৭৩০টি আবেদনপত্র জমা পড়ে। ওই আবেদনপত্র যাচাই করে শিলিগুড়ি পুরসভার ১ হাজার ৮২৪ জনকে বাংলা আবাস যোজনায় ঘর দেওয়ার জন্য চিহ্নিত করা হয়।
আরও পড়ুন : এবার ত্রিপুরা যাচ্ছেন সুস্মিতা দেব, থাকবেন ১৫ দিন
২০২০ সালে পাকা ঘর তৈরির জন্য এই ১ হাজার ৮২৪ জনের মধ্যে প্রথম ধাপে ৮ কোটি ৯৪ লক্ষ ১৬ হাজার টাকা বণ্টন করা হয়েছে। আবাস যোজনার অ্যাকাউন্টে আরও ৬ কোটি ৯৮ লক্ষ টাকা এসেছে। যা শিগগিরই প্রাপকদের মধ্যে বণ্টন করা হবে। জানালেন শিলিগুড়ি পুরসভার হাউসিং ফর অল-এর দায়িত্বে থাকা সহকারী ইঞ্জিনিয়ার সন্দীপ রায়। তিনি জানান, পুরসভার পক্ষ থেকে ১ হাজার ৮২৪ জনকে পাকা ঘর তৈরি করে দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের নগর উন্নয়ন দফতরের তরফে ৩ লক্ষ ৩৩ হাজার করে মোট ৬০ কোটি ৭৩ লক্ষ ৯২ হাজার টাকা অনুমোদিত করা হয়েছে। জানুয়ারি ২০২০ থেকে জুলাই ২০২১ পর্যন্ত ১৫ কোটি ৯২ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকা পুরসভাকে দেওয়া হয়েছে। আরও ৪৪ কোটি ৮১ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকা নগর উন্নয়ন দফতর থেকে পাওয়া যাবে। সন্দীপ রায় বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশে দ্রুততার সঙ্গে কাজ চলছে। যদিও সার্ভে, নথি সংগ্রহ ও যাচাই সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।
এদিকে বাংলার আবাস যোজনায় পাকা ঘর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন শিলিগুড়ির ডাবগ্রামের বাসিন্দা শিবানী চক্রবর্তী। তিনি জানান, স্বামী পেশায় পুরোহিত। সামান্য আয়ে তিন ছেলেমেয়ের পড়াশোনা, মেয়েদের বিয়ে ইত্যদিতে সর্বস্বান্ত হয়ে বসেছিলাম। এদিকে বর্ষায় ঘরের টিনের চাল ফুটো হয়ে জল পড়লেও ঘর বানানোর কোনও উপায় ছিল না। এবার মুখ্যমন্ত্রী আবাস যোজনায় পাকা ঘর তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। ছাদ তৈরি হলে এই নরকযন্ত্রণা থেকে মুক্ত হব।