সার্বিয়ার কাছে হেরে প্রবল চাপে রোনাল্ডোরা, কাতারের টিকিট পেতে খেলতে হবে প্লে-অফ

Must read

লিসবন, ১৫ নভেম্বর : ঘরের মাঠে সার্বিয়ার বিরুদ্ধে শেষ মুহূর্তের গোলে হার। আর তাতেই কাতার বিশ্বকাপে অনিশ্চিত ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর পতুর্গাল! গ্রুপের দ্বিতীয় স্থানে শেষ করার জন্য, এবার প্লে-অফ খেলেই বিশ্বকাপের টিকিট পেতে হবে রোনাল্ডোদের। অন্যদিকে, ২-১ ব্যবধানে জিতে সরাসরি বিশ্বকাপের মূলপর্বে চলে গেল সার্বিয়া।
২০১৬ ইউরো চ্যাম্পিয়ন পতুর্গাল। ২০১৯ সালে নেশনস লিগও জিতেছে পর্তুগিজরা। সবচেয়ে বড় কথা, রোনাল্ডো নিজে চলতি মরশুমে দারুণ ছন্দে রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে রবিবার রাতের ম্যাচটা ড্র করলেই কাতারের টিকিট পাকা করে ফেলত পর্তুগাল। কিন্তু ঘরের মাঠে আয়োজিত ম্যাচের শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে কপাল পুড়ল রোনাল্ডোদের। ম্যাচের পর তাই মাঠেই কান্নায় ভেঙে পড়েন সিআর সেভেন।
অথচ ম্যাচের শুরুতে এমন ইঙ্গিত ছিল না। বরং খেলা শুরু হওয়ার দু’মিনিটের মধ্যেই রেনাতো স্যাঞ্চেজের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল পর্তুগাল। কিন্তু এগিয়ে যাওয়ার পর বিস্ময়কর ভাবে রক্ষণাত্মক হয়ে পড়েছিলেন পর্তুগিজরা। সেই সুযোগে দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে আসে সার্বিয়া।

আরও পড়ুন : রিষড়ায় শুরু জগদ্ধাত্রী পুজো

৩৩ মিনিটেই স্ট্রাইকার দুসান তাদিচের গোলে ১-১ করে দেয় সার্বিয়া। আর ৯০ মিনিটে আলেকজান্ডার মিত্রোভিচের গোলে নাটকীয় জয় ছিনিয়ে নেয় তারা। নব্বই মিনিট মাঠে থাকলেও চূড়ান্ত হতাশ করলেন রোনাল্ডো।
এই জয়ের সুবাদে ৮ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ এ-র শীর্ষে থেকে আগামী বছরের বিশ্বকাপের মূলপর্বে উঠে গেল সার্বিয়া। সমান ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা পর্তুগালকে এবার প্লে-অফে খেলতে হবে। প্রসঙ্গত, ইউরোপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ১০টি গ্রুপের রানার্স প্রতিটি দল প্লে-অফে অংশগ্রহণ করবে। এর সঙ্গে যোগ হবে নেশনস লিগের দুই গ্রুপের বিজয়ী দল। সব মিলিয়ে মোট ১২টি দলকে নিয়ে বসবে প্লে-অফের আসর।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের বিশ্বকাপেও রোনাল্ডোরা উঠেছিলেন প্লে-অফের বেড়া টপকে। সেবার সুইডেনকে হারিয়ে ব্রাজিলের টিকিট ছিনিয়ে নিয়েছিল পর্তুগাল। এবার রোনাল্ডোরা সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করতে পারেন কি না, সেটাই দেখার।

আরও পড়ুন : প্রস্তুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

অন্যদিকে পরিবর্ত মোরাতার গোলেই সুইডেনকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপের মুলপর্বে উঠে গেল স্পেন। তবে ৮৬ মিনিটে করা এই গোলের জন্য সতীর্থ দানি আলমোকে ধন্যবাদ দেওয়া উচিত মোরাতার। মাঠের বাঁ প্রান্ত থেকে দ্রুত গতিতে সুইডেনের বক্সের কাছাকাছি পৌঁছে ডান পায়ে গোলার মতো শট নিয়েছিলেন আলমো। তাঁর শট সুইডিশ গোলরক্ষককে পরাস্ত করে ক্রসপিসে লেগে ফিরতেই, ফাঁকা গোলে বল ঠেলে দেন মোরাতা। আর এই গোলটাই স্প্যানিশদের কাতার বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করে দিল। এই জয়ের সুবাদে ৮ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ শীর্ষে থেকে কাতার যাচ্ছে স্পেন। অন্যদিকে, দ্বিতীয় স্থানে থাকা সুইডেন খেলবে প্লে-অফে। এদিকে, বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে জার্মানি ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত করল আর্মেনিয়াকে। এই ম্যাচে মাঠে নামার আগেই বিশ্বকাপের টিকিট পাকা করে ফেলেছিলেন জার্মানরা। এদিন জার্মানির হয়ে জোড়া গোল করেন ইলকে গুন্ডোগান। একটি করে গোল করেন কাই লুকাস ও জোনাস হফম্যান।

 

Latest article