প্রতিবেদন : প্রধানমন্ত্রী অাবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠল বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশে। ভারতের কম্পট্রোলার ও অডিটর জেনারেল (সিএজি) জানিয়েছে, বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার গ্রামীণ বাস্তবায়নে ব্যাপক অনিয়ম ধরা পড়েছে। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দেড় হাজারেরও বেশি অযোগ্য সুবিধাভোগীকে ১৫ কোটি টাকা দুর্নীতি করে পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। আট হাজারের বেশি সুবিধাভোগী এসসি এবং এসটি সম্প্রদায়ের আরও বঞ্চিত সুবিধাভোগীদের চেয়ে অগ্রাধিকার পাচ্ছেন।
আরও পড়ুন-ইডির জুজু দেখিয়ে কোটি কোটি টাকার ‘তোলাবাজি’ চালাচ্ছে বিজেপি!, চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট প্রকাশ্যে
দারিদ্রমুক্তির হাতিয়ার হিসাবে ২০১৬ সালে কেন্দ্র পাবলিক হাউজিং প্রোগ্রাম চালু করেছিল। এর লক্ষ্য ছিল, ২০২২ সালের মধ্যে গ্রামীণ এলাকায় কাঁচা এবং জরাজীর্ণ বাড়িতে বসবাসকারীদের মৌলিক সুবিধা-সহ পাকা বাড়ি প্রদান করা। ৮ ফেব্রুয়ারি মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় পেশ করা সিএজি রিপোর্টটি ২০১৬-২১ থেকে প্রকল্পের বাস্তবায়নের কথা বলেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২৬,২৮,৫২৫টি বাড়ি মঞ্জুর করা হয়েছিল এবং ২৪,৭২৩ কোটি টাকা সুবিধাভোগীদের দেওয়া হয়েছিল। অনুমোদিত ঘরগুলির মধ্যে ৮২.৩৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। যদিও এই প্রকল্প অনুযায়ী একটি যানবাহন বা মাছ ধরার নৌকা আছে এমন পরিবারগুলিকে বাদ দেওয়া হয়, কিন্তু সেই শর্ত লঙ্ঘন করে অযোগ্যদের সুবিধা পাইয়ে দিয়েছে বিজেপি প্রশাসন। সিএজি রিপোর্টে চিহ্নিত করা হয়েছে, ২,০৩৭টি নিরীক্ষিত বাড়ির অনুমোদনের আগে সুবিধাভোগীদের দুই/তিন/চার চাকার গাড়ি ছিল৷ এই ২,০৩৭ অযোগ্য সুবিধাভোগীর মধ্যে ১,৫৫৫ জনকে আবাস যোজনায় ১৫.৬৬ কোটি টাকার সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-কৃষক আন্দোলন দমনের নয়া ছক, সমর্থনকারীদের এক্স হ্যান্ডেল ব্লকের নির্দেশ মোদি সরকারের
মধ্যপ্রদেশের এই দুর্নীতি সামনে আসার পর তৃণমূল কংগ্রেসের প্রশ্ন, বাংলার সঙ্গে যে শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণেই কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিহিংসামূলক আচরণ করছে, তা আবার প্রমাণিত হল। এর আগে উত্তরপ্রদেশেও এমন অনিয়ম সামনে এসেছে। এবার মধ্যপ্রদেশ। তৃণমূলের প্রশ্ন, সিএজি রিপোর্ট দেখে মধ্যপ্রদেশকেও কি অর্থ দেওয়া বন্ধ করবে নরেন্দ্র মোদি সরকার? নাকি বঞ্চনা শুধু বাংলাকেই?