প্রতিবেদন : যে রাজনৈতিক নেতা দিন ও রাতের পার্থক্য বোঝেন না তিনি প্রধানমন্ত্রীর দফতর সামলাবেন কী করে? কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী প্রসঙ্গে নাকি এমনই মনোভাব ছিল প্রণব মুখোপাধ্যায়ের (Sharmistha Mukherjee)। শুধু তাই নয়, রাহুলের খামখেয়ালি আচরণে রীতিমতো বিরক্ত হতেন ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি। সম্প্রতি প্রণবকন্যা শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়ের সদ্যপ্রকাশিত বইয়ে (প্রণব মাই ফাদার) উঠে এল এমনই অজানা তথ্য। বাবার লেখা ডায়েরি থেকে নানা ঘটনার উল্লেখ করেছেন প্রণবকন্যা। তার মধ্যেই অন্যতম রাহুল-প্রণবের সাক্ষাৎ।
নিজের বইয়ে শর্মিষ্ঠা (Sharmistha Mukherjee) লিখেছেন, ‘একদিন সকালে অভ্যাসবশত মুঘল গার্ডেন্সে হাঁটছিলেন বাবা। হঠাৎ রাহুল গান্ধী এসে হাজির। তবে বাবা দেখা করেছিলেন। পরে জানা গেল, ওইদিন বিকেলে বাবার সঙ্গে রাহুলের দেখা করার কথা ছিল। কিন্তু রাহুলের দফতর ‘পিএম’-কে ‘এএম’ ভেবে সকালেই বৈঠক করেছিল। বাবা আমাকে বলেছিলেন, যে দিন-রাতের ফারাক করতে পারে না সে একদিন প্রধানমন্ত্রীর দফতর চালাবে কী করে?’ রাহুলের এমন নানা আচরণে রীতিমতো ক্ষুব্ধ ছিলেন প্রণব।
সেইসব ঘটনাবলির কথা তুলে ধরে নিজের বইয়ে শর্মিষ্ঠা লিখেছেন, ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের কয়েকমাস পরে কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাদিবস উপলক্ষে পতাকা উত্তোলনেও হাজির ছিলেন না রাহুল। এছাড়াও মাঝে মাঝেই রাহুলের ছুটি কাটাতে যাওয়ার বিষয়টিও ভালভাবে নেননি প্রণব। তাঁর মতে, সোনিয়াজি চেয়েছিলেন রাহুলকেই দলের কান্ডারি বানাতে। কিন্তু রাহুলের রাজনৈতিক জ্ঞানের অভাবেই সমস্যা বেড়েছে। পদে পদে ছিল রাহুলের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা। তবে শুধু খারাপ নয়, রাহুল প্রসঙ্গে কিছু ভাল কথাও লিখেছেন প্রণবকন্যা। তাঁর মতে, কংগ্রেসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে রাহুলের ভূমিকার উপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছিলেন বাবা। তবে উনি বেঁচে থাকলে অবশ্যই ভারত জোড়ো যাত্রার প্রশংসা করতেন। যেভাবে ১৪৫ দিন ধরে একাগ্রভাবে যাত্রা চালিয়েছেন রাহুল, সেটা বাবার ভালো লাগত।
আরও পড়ুন- পণবন্দিদের উপর যৌননিগ্রহের অভিযোগ, ইহুদি বলেই কি চুপ রাষ্ট্রসংঘ?