চন্দন মুখোপাধ্যায় কাটোয়া: দুগ্গা ঠাকুরের হরেক রুচি। বাড়ির পুজোগুলোয় তার বৈচিত্র্য নজর কাড়ে। পুজোর চারদিন সেই রুচি মোতাবেক দু’বেলা ভোগের বন্দোবস্ত করতে হয়। পূর্বস্থলী থেকে কাটোয়া, বিভিন্ন প্রাচীন পারিবারিক পুজোর ভোগের হেঁশেলে চক্কর দিয়ে এমনই সব নানান আয়োজনের হদিশ মিলল। কাটোয়ার করজগ্রাম পঞ্চায়েতের বনগ্রামের চট্টোপাধ্যায় পরিবারের দুশো বছরের পুরনো পুজো। এখানকার দুর্গার পছন্দ পুঁইশাক আর কুঁচো চিংড়িমাছ। বললেন শচীন চট্টোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-দশমীতে অরন্ধন পালিত হয় বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারে
তাঁর কথায়, ‘বংশ পরম্পরায় মা দুর্গার জন্য এই পুঁই-চিংড়ির ভোগ দিই আমরা। আমাদের দুর্গার নামই হয়ে গিয়েছে পুঁই-চিংড়ি দুর্গা।’ পূর্বস্থলীর মেড়তলার ভট্টাচার্য পরিবারের ৪০০ বছরের পুরনো পুজোর প্রবর্তন করেছিলেন পরিবারের তন্ত্রসাধক কালীশঙ্কর তর্কচূড়ামণি। এখানকার দুর্গাকে সন্ধিপুজোর ভোগ হিসেবে দেওয়া হয় কাঁকড়া-গুগুলির নানান পদ। সেইসঙ্গে খিচুড়ি, চচ্চড়ি ও মাছের নানা পদ। আর নবমীর ভোগে পান্তাভাত। জানালেন পরিবারের বর্তমান সদস্যরা। মুড়ি খেতে বড্ড ভালবাসেন পূর্বস্থলীর চণ্ডীপুরের ভটচাজ পরিবারের দুর্গা। তাই রোজ পুজোর ভোগে আমতেল দিয়ে মুড়ি মেখে দেন পরিবারের সদস্যরা। সেইসঙ্গে দেওয়া হয় নানারকম শাক। কচুরশাক, নটেশাক, পুঁইশাক। আর শেষপাতে আমড়ার টক।