মানুষের অনুরোধ, আবদার, আবেগকে সম্মান দিয়ে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নিজের কেন্দ্র ভবানীপুর ছেড়ে নন্দীগ্রামে প্রার্থী হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময়ে তিনি বলেছিলেন, নন্দীগ্রাম এবং ভবানীপুর তাঁর কাছে দুই বোন। ২ মে ফলাফল ঘোষণার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জয়ী হয়েছেন নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে। তখন তৃণমূল সমর্থকরা ছিলেন উৎসবের মেজাজে, কিন্তু হঠাৎ কোনও এক অজানা কারণে নন্দীগ্রামে অল্পের জন্য জয় হাতছাড়া হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রাজ্য রাজনীতি যদিও সেই নিয়ে এখনও উত্তাল। নন্দীগ্রামের মানুষও এই ফলাফল মেনে নিতে পারছেন না। শেষপর্যন্ত নন্দীগ্রামে বিতর্কিত ফলাফল আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও অভিযোগ করেছেন, নন্দীগ্রামের ভোটে তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার।
আরও পড়ুন- পুলিশ খালি করল মুকুলের বাড়ি, যোগেনকে মোটা জরিমানা, ছাড় পেলেন দীনেশ
এবার মুখ্যমন্ত্রী তাঁর পুরনো কেন্দ্র ভবানীপুর উপনির্বাচনের প্রার্থী। সেখানে ৩০ সেপ্টেম্বর হবে ভোটগ্রহণ। হতাশ নন্দীগ্রামে তৃণমূলের নেতা, কর্মীরা৷ তাই ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রেকর্ড জয় চাইছেন তাঁরা৷ রাজ্যজুড়ে গোটা তৃণমূল পরিবার নন্দীগ্রামে চক্রান্তের জবাব দিতে এবার ভবানীপুরে সুদে আসলে তা উসুল করতে বদ্ধপরিকর।
দলনেত্রীর হিয়ে জবাব দিতে তৈরি নন্দীগ্রামও। উপনির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রীর সাফল্য কামনায় এবার নন্দীগ্রামে বিশেষ পুজো দিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মীরা৷ বিশেষ প্রার্থনা হল নন্দীগ্রামের মসজিদেও৷
আরও পড়ুন-শরৎ-উপন্যাসের কয়েকটি নারী চরিত্র
মুখ্যমন্ত্রী যাতে ভবানীপুর থেকে রেকর্ড মার্জিনে জয়ী হন সেই প্রার্থনা করেই রেয়াপাড়ার শিব মন্দিরে দল বেঁধে পুজো দেন তৃণমূলকর্মীরা৷ গণেশ চতুর্থীর পূর্ণলগ্নে সিদ্ধিদাতার কাছে প্রিয় মুখ্যমন্ত্রীর সাফল্য কামনা করা হয়৷ ফুল, মিষ্টি হাতে নিয়ে এবং মুখ্যমন্ত্রীর সমর্থনে লেখা প্ল্যাকার্ড গলায় ঝুলিয়ে মন্দিরে হাজির হন তৃণমূল কর্মীরা৷ হোম, যজ্ঞ করা হয়। প্রার্থনা হয় বিভিন্ন মসজিদেও।