প্রতিবেদন : দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা সফল করতে ঝাঁপিয়ে পড়ল উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। রবিবারই জেলা নেতৃত্বর সঙ্গে বৈঠকে এই সভার কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হয়। লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি, কেন্দ্রের বঞ্চনা ও দলীয় সংগঠনকে মজবুত করা-সহ একাধিক ইস্যুতে আগামী ৩০ মে শ্যামনগরের অন্নপূর্ণা কটন মিলের মাঠে জনসভা করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভা সফল করার লক্ষ্যে সোমবার থেকে কাজ শুরু করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। এই উপলক্ষে এদিন সন্ধে ৬টা নাগাদ টিটাগড়ের জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে প্রথম প্রস্তুতি বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন-ভারতীয় দলে কার্তিক, ঘরের ছেলে নেই, নির্বাচকরা জানে : সৌরভ
জেলার প্রায় প্রথম সারির সমস্ত নেতারা ছাড়াও জনপ্রতিনিধি, মন্ত্রী ও দলীয় পদাধিকারীরা এই সভায় হাজির ছিলেন। দলে ফেরার পর এদিনই প্রথম তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও বৈঠকে যোগ দিলেন বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। এ ছাড়াও এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ব্রাত্য বসু, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, সুজিত বসু, সাংসদ সৌগত রায়, বিধায়ক তাপস রায়, মদন মিত্র, পার্থ ভৌমিক, রাজ চক্রবর্তী-সহ জেলার অন্যান্য পদাধিকারীরা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সভাকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে রাজনৈতিক উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম জানান, তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের সভার জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, এখনও পর্যন্ত ঠিক আছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ওইদিন সড়কপথেই সভায় আসবেন।
আরও পড়ুন-বাটলার-ভীতিতে ভুগছেন না শামি
বিকেল চারটেয় সভা শুরু হবে। তবে পরিস্থিতি অনুয়ায়ী সময় পরিবর্তন হতে পারে। ইতিমধ্যে পুলিশের পক্ষ থেকেও অভিষেকের নিরাপত্তা সুরক্ষিত করতে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। রবিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর সোমবার সকাল থেকে জগদ্দলের মজদুর ভবনে অর্জুন সিংয়ের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে এলেন বহু তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী-সমর্থক। অর্জুন সিং বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের জন্মলগ্ন থেকে আমি এই দলে ছিলেন। কিছু ভুল বোঝাবুঝির কারণে দল ছেড়েছিলাম। কিন্তু ভুল বুঝতে পেরে আবার ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে এসেছি।