প্রতিবেদন : হুবহু শ্রীলঙ্কার ঘটনার প্রতিচ্ছবি দেখা গেল ইরাকে। রাজধানী বাগদাদ যেন আর এক কলম্বো। প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ ও সুইমিং পুল বিক্ষুব্ধ জনতার দখলে। রাজপথেও মানুষের স্রোত। শেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ৩০ জন বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন সাড়ে তিনশোরও বেশি।
আরও পড়ুন-লাদাখে ভারতীয় মেষপালকদের হেনস্তা লালফৌজের
সোমবার সে দেশের প্রভাবশালী শিয়া মুসলিম নেতা মুক্তাদা আল-সদরে আচমকা রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। এরপরেই পথে নামে তাঁর সমর্থকরা। বাগদাদে ইরাকি নিরাপত্তাবাহিনী ও মুক্তাদার সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। শ্রীলঙ্কার মতোই হাজার হাজার বিক্ষোভকারী নিরাপত্তাবেষ্টনী পেরিয়ে প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে ঢুকে পড়েন। অনেকেই নেমে পড়েন সুইমিং পুলে। কেউ কেউ সেলফি তোলায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তবে এই মুহূর্তে প্রেসিডেন্ট কোথায় সে বিষয়ে কেউ কোনও কথা বলতে পারছেন না । সরকারি কর্তারাও মুখে কুলুপ এঁটেছেন।
আরও পড়ুন-বেঙ্গালুরু ঈদগাহ ময়দানে গণেশ চতুর্থী উদযাপন নিষিদ্ধ, রায় সুপ্রিম কোর্টের
বাগদাদ ছাড়াও দেশের একাধিক জায়গায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে দেশজুড়ে কারফিউ জারি করা হয়েছে। সবচেয়ে উদ্বেগের হল, সেনা-জনতা লড়াই চলছে বাগদাদ শহরের প্রাণকেন্দ্র গ্রিন জোনে। সেখানে রয়েছে ইরাকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অফিস এবং বিদেশি দূতাবাস। সংঘর্ষে রকেট চালিত গ্রেনেড ব্যবহার করতে দেখা গিয়েছে। ঘটনার জেরে একাধিক দেশ ইরাক থেকে দূতাবাস কর্মীদের দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছে।